পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে তারা জিয়াউর রহমানকে, জিয়ার পরিবারকে এবং তার প্রতিষ্ঠিত দলকে ভয় পায়। এ কারণে আমাদের ডাক দেওয়া গণসমাবেশকেও ভয় পায়। আমাদেরকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি করতে দিতে চায় না। আওয়ামী লীগের অবস্থান বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, জনগণের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
মোশাররফ হোসেন বলেন, এ দেশের মানুষ আওয়াজ তুলেছে তারা গণতন্ত্র হত্যাকারীদের আর ভোট দেবে না। যারা দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা অর্থনীতিকে আর মেরামত করতে পারবে না। যারা দেশের বিচার ব্যাবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।
পেশাজীবীদেরকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং অবদানের মাধ্যমে দেশের জনগণের প্রত্যাশা এ সরকারকে বিদায় করে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করার কোনো বিকল্প নেই। বিদায় করার জন্য আমরা ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ যাতে গঠিত হয় সেজন্য রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ২৭ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপি অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, বাংলাদেশে অনেক বড় বড় নেতা রয়েছেন। এর মধ্যে একজনের প্রশংসা করতে করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পাগল হয়ে যায়। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করেন যে নেতার জন্য এত বন্দনা, তার সর্বশেষ রাজনৈতিক দর্শন কী? গণতন্ত্র হত্যা, বাকশাল প্রতিষ্ঠা। অস্বীকার করতে পারবে? পদ্মা সেতু তৈরি ও যমুনা সেতু তৈরি হয়েছে, এটা নাকি তার স্বপ্ন ছিল। রাজনৈতিক দর্শন ও গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা, এসব কথা তারা বলে না, আমরাও বলতে চাই না। জনগণ এর বিচার করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্র হত্যা করেছিল, সেখানে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। এরশাদ গণতন্ত্র হত্যা করেছিল সেখানে আমাদের নেত্রী এরশাদের পতন ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযুক্ত করেছিলেন।
যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানে গণতন্ত্র কোনো অবস্থান নয় মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। যেখানে বিএনপি সেখানেই গণতন্ত্রপূর্ণ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। অতএব আজকের দিনে মানুষ কিসের সঙ্গে রয়েছে? নেই গণতন্ত্র, সাথে সাথে মানুষের অধিকার নেই, অর্থনৈতিক সংকটে দেশ।
ড. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।