Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে মুক্তি মিলল মুফতী কাজী ইব্রাহিমের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

আদালতে ‘কৃত অপরাধের দোষ’ স্বীকার করে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম। গত সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন। এর আগে ওইদিন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে তিনি ‘দোষ’ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বিচারক এ কে এম জুলফিকার হায়াত তাকে যত দিন ছিলেন ততোদিনের কারাদÐ দেন। ফরে বন্দীকালিন সময়টি তার সাজা হিসেবে গণ্য হয়। ফলে তিনি কারামুক্ত হন। গ্রেপ্তারের পর থেকে এ পর্যন্ত কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কারাভোগকেই সাজা হিসেবে প্রদান করেন আদালত। সে হিসাবে তাকে এক বছর ৩ মাস ১৯ দিনের কারাদÐ দেয়া হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এই মামলায় কারাগার থেকে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সোমবার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ সময় মুফতি ইব্রাহিম দোষ স্বীকার করেন। একই সঙ্গে তাঁর কৃত অপরাধের জন্য তিনি ক্ষমা চান।

প্রসঙ্গত: ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে এবং ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য দিতে গিয়ে মুফতি ইব্রাহিম মিথ্যা তথ্য এবং সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আর এসব বক্তব্য জনগণকে দেশের বিরুদ্ধে উসকে দেয়ার শামিল এবং দেশব্যাপী ধর্মীয় উন্মাদনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা।
মুফতি কাজী ইব্রাহিম তার বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও খুৎবার সময় মিথ্যা-উসকানিমূলক ও ভীতিপ্রদর্শন সংবলিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করেন। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি করেছিলেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মুন্সি আব্দুল লোকমান।

পরে ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তার এক বছর তিন মাস ১৯ দিনের কারাবাস হয়। যা দÐ হিসাবে প্রদান করেন আদালত।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫/৩১/৩৫ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: হাসানুজ্জামান। এ ধারাগুলোর সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাদÐ। যেহেতু তিনি দোষ স্বীকার করেছেন, সেহেতু বিচারক সন্তুষ্ট হয়ে তার কারাভোগটাই সাজা হিসেবে দিয়েছেন।
তাকে গ্রেপ্তার করতে লালবাগের বাসায় পুলিশ গেলে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে হিন্দুস্তানি দালাল ও ‘র’-এর এজেন্ট তার বাসা ঘিরে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।

 



 

Show all comments
  • Hasan ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:২৪ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Khandokar Abbas Uddin ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:২৫ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ