Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজগঞ্জে বরই চাষে স্বাবলম্বী দুই বন্ধু

চাকরি ও কাজের ফাঁকে মিশ্র চাষাবাদ

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বলসুন্দরী, ভারতসুন্দরী ও টক বরই চাষাবাদে প্রথম বছরেই ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে দুই বন্ধু। তারা হলেন উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের সিলন্দা গ্রামের নাসির উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারা দুইজনই উচ্চ শিক্ষিত যুবক। চাকরি এবং কাজের ফাঁকে তারা মিশ্র চাষাবাদ শুরু করেছেন।

গত বছর এই দুই বন্ধু মিলে ৫০ হাজার টাকা বার্ষিক চুক্তিতে শিলন্দা এলাকার মাঠে ৬ বিঘা জমি লিজ নেন। সেখানে তারা তিন জাতের ১৩শ’ বরই ও ১৪শ’ বারোমাসি থাই পেয়ারা বাগান করেন। নাটোর থেকে তার এসব চারা সংগ্রহ করে। এতে তাদের সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। এ বাগান করার মাত্র ৮ মাসের মধ্যেই তাদের বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণে বরই ধরেছে। আপেলের মতো দেখতে লাল টুকটুকে বড় বড় বরই শোভা পাচ্ছে তাদের গাছে।

প্রচুর পরিমাণে বরই ধরায় পুরো বাগানটি নেট দিয়ে ঘেরা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বাগানের গাছ থোকে বরই তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। মচমচে স্বাদে সুমিষ্টি হবার কারণে তাদের বরই ৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এই বাগনের উদ্্েযাক্তারা আশা করেছে চলতি মৌসুমে এখানে থেকে পায় ৬শ’ মণ বরই বিক্রি করবেন। যা থেকে তারা প্রথম বছরেই বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করার সম্ভবনা দেখছেন। একই সাথে তাদের বাগান থোকে বারোমাসি থাই পেয়ারাও বিক্রি করবেন।

বরই ও থাই পেয়ারা বাগানের উদ্যোক্তা নাসির উদ্দিন জানান, আমরা দুই বন্ধু মিলে নিজেরা কিছু করবো এমন চিন্তায় ৬ বিঘা জামির ওপর এই মিশ্র বাগানটি গড়ে তুলেছি। পুরো চাষাবাদে আমরা জৈব সার ব্যবহার করেছি। যার কারণে আমাদের বাগানে বরই এবং পেয়ারার ভাল ফলন দেখা যাচ্ছে। এখানে ৪ জন শ্রমিক কাজ করে প্রথম বছরে বরই বিক্রি করে আমরা ১০ লাখ টাকা লাভের আশা করছি। এছাড়া বারোমাস থাই পেয়ারা বিক্রি হবে। এ সাফল্যের পর আমরা পার্শ¦বর্তী কৃষি জমিতে বাগানের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এর বাইরেও আমি বাড়িতে গরুর খামারসহ কোচিং করাচ্ছি। আমার বন্ধু চাকরি করছে। তিনি বলেন, শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি বসে না থেকে আমাদের মতো বাগান করে তবে তারাও নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বরই ও থাই পেয়ারা বাগানের উদ্যোক্তাদের মাঠ পর্যায়ে সব ধরনের পরামর্শ ও সহয়োগিতা দিচ্ছি। তারা বরই বিক্রি করে এক মৌসুমেই অনেক টাকা আয় করতে পারবে। পাশাপাশি বারো মাস থাই পেয়ারা বিক্রি করবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ