পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকার আমলে ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে। ৩২ পৃষ্ঠার এ রায় লিখেছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এতে সাক্ষর করেছেন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি।
২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে এ নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর ২০০৭ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকার আমলে তাদের প্রত্যকের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হয়। এরমধ্যে অনুত্তীর্ণ ৮৫ জনকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধেও তারা আপিল করেন। সেটি মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এ প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে। ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি সম্পন্ন হয়। আপিলগুলোর শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ।
রায় অনুযায়ী ওই ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। এতে ওই ৮৫ কর্মকর্তা আর চাকরি ফেরত পাবেন না।
আদালতে সরকারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরশেদ, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল।
অন্যদিকে চাকরিচ্যুত নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান মোস্তফা, অ্যাডভোকেট অনীতা গাজী রহমান ও অ্যাডভোকেট শুভ্র চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।