পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী নিজেকে হালাল নেত্রী দাবি করেছেন। তিনি এবং তার দলের সবই হালাল রুজি করেন এবং সংসার চালান বলেও তার দাবি। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোটি টাকা দিয়ে রাজনীতি করে না। দলের সব নেতাকর্মী হালাল রুজিতে, পরিশ্রম করে চলেন এবং পার্টি করেন। হালাল রুজি খেয়েই দলকে দিন দিন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল বুধবার রাজধানী ঢাকার লালবাগ শহীদ নগর খেলার মাঠে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
দেশে যখন দুর্নীতি আর বিদেশে টাকা পাচারের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মতো নেতা কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ‘কত টাকা আপনাদের লাাগে; টাকা নিয়ে কি কবরে যাবেন’। কানাডায় বেগম পাড়া, সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার অভিযোগ যখন ব্যপকভাবে উঠছে। ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও সাধারণ সম্পাদক ইসমিয়াজ হাসান রুবেল আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় বর্তমানে কারাগারে। জেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের নেতার এই অবস্থা তাহলে কেন্দ্রীয় নেতা ও অন্যান্যদের কি অবস্থা সহজেই অনুমেয়। গত সাপ্তাহে মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে ওয়াসার এমডির বিদেশে ১৪টি বাড়ি আছে এবং ড. আবদুস সোবহান গোলাম এমপি আমেরিকার নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার দিয়ে বাড়ি ও ফ্লাট কিনেছেন। এসব খবর যখন সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যমগুলোতে তোলপাড় চলছে তখন মতিয়া চৌধুরী নিজেকে হালাল রুচির নেত্রী এবং আওয়ামী লীগের সবাই হালাল রুজি করেন বলে দাবি করলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আছে সেটা না, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে থাকে তখনও তারা জনগণ থেকে দূরে সরে যায় না। সামর্থ্য অনুযায়ী তারা জনগণের মাঝে থাকে। শুধু রিলিফের সময় তা নয়, রোজা বলেন, ঈদ বলেন, সব সময় তারা তাদের ছোট উপহারের ব্যবস্থা করেন। আজকের এই কম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার।
সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানিয়ে সংসদ উপনেতা বলেন, আপনারা দোয়া করবনে আরো যেন তৌফিক দেয় বঙ্গবন্ধুকন্যারে, আমরা সবাই মিলে দেশটাকে একে অপরের সাহায্য করতে পারি। সহযোগিতা করতে পারি এবং হাতে হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।
আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. জামিল হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকতার হোসেন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।