Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চ্যালেঞ্জের নামই জীবন ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চ্যালেঞ্জের নামই জীবন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চ্যালেঞ্জ যে নিতে জানে না, যার সাহস ও মনোবল নেই, সে কখনো এগিয়ে যেতে পারবে না। তিনি শিক্ষার্থীদের মাদক, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে যে কোনও বিষয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে উৎসাহিত করেছেন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে ‘স্বর্ণ-কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘স্বর্ণ কিশোরী জাতীয় কনভেনশন ২০১৬’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা আমাদের জাতীয় জীবনের প্রধান বিপদ। এগুলো আমাদের জাতীয় জীবন ও রাজনীতিতে আঘাত করে। মাদকের ছোবল সমাজে আঘাত করে। তাই মাদককে ঘৃণার সাথে না বলতে হবে। দুর্নীতিকে না বলতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা ও মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। তিনি বলেন, জীবন হচ্ছে একটা চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ যে নিতে জানে না, যার সাহস ও মনোবল নেই সে কখনও এগিয়ে যেতে পারবে না। বারে বারে থমকে যাবে। চ্যালেঞ্জের নামই জীবন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, তোমাদের জীবন গড়তে হবে জীবনের জন্য, জীবিকার জন্য নয়। তোমাদের পরীক্ষার্থী নয়, শিক্ষার্থী হতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশে কোয়ালিটি এডুকেশন সৃষ্টি হবে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গিরা প্রকাশ্যে দুর্বল হলেও তলে তলে তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে হবে। মেধাবীরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশুন্য হয়ে পড়বে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানের ঘটনার পর অনেকে হয়তো এই  ভেবে আশ্বস্ত যে আর বোধ হয় এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। সব অবদমিত হয়ে গেছে, আমরা প্রতিরোধ করে ফেলেছি। আমাদের আত্মসন্তুষ্টির কারণ থাকতে পারে। প্রকাশ্যে তারা দুর্বল। কিন্তু আরও বড় ধরনের হামলা করার জন্য তারা তলে তলে সক্রিয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি আমাদের জাতীয় জীবনের প্রধান শত্রু। এটি আমাদের জীবন, রাজনীতি ও সমাজকে আঘাত করে। তাই এগুলো বন্ধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও হরিণাকু-তে প্রায়ই শুনি কিশোর-কিশোরীরা আত্মহত্যা করে। কেন তারা এমনটা করে? জীবনটা হচ্ছে অফুরন্ত ও অবারিত। কোনো কারণে হতাশ হলে, তা কাটিয়ে এটাকে উপভোগ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমাদের মেয়েরা এখন আর পিছিয়ে নেই। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে এবং মেধার স্বাক্ষর রাখছে। মেয়েদেরকে দেশের জন্য দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় মেয়েরা এগিয়ে আছে। প্রতিবছর ১২ জন সেরা মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি।
নাহিদ বলেন, মেয়েদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করে আমরা প্রমাণ করেছি, ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সব ধরনের চ্যালেঞ্জিং কাজে সমান পারদর্শিতা দেখাতে সক্ষম। আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা ৫১ ভাগ, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫৩ ভাগ এবং উচ্চশিক্ষায় ৪৫ ভাগ মেয়ে।
স্বর্ণ-কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মেয়েদেরকে আরো সামনে এগিয়ে নেয়ার যেকোনো উদ্যোগকে সরকার সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
ফাউন্ডেশনের সদস্যদের সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ, তারাই ভবিষ্যত বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। আমাদের শিক্ষার মান আরো বাড়াতে হবে। এ জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার পরিবেশের মান উন্নয়ন করতে হবে।
স্বর্ণ-কিশোরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ফারজানা ব্রাউনিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেণ শিকদার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। দেশের ৪৯১ উপজেলা থেকে ফাউন্ডেশনের কিশোরী শিক্ষার্থীরা এ কনভেনশনে অংশগ্রহণ করে। কিশোরী স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ফাউন্ডেশনটি কাজ করছে। দেশের ৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর সদস্য রয়েছে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৫:৪৮ এএম says : 0
    আমি আজ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের বক্তব্য পাঠ করে খুশী হয়েছি। আমি কয়দিন ধরে ওনার “আমি” “আমি” শব্দটার সমালোচনা করে আসছিলাম আজ তিনি আমি না বলে আমরা বলছেন কত ভাল লাগছে বলে বুঝাতে পারছিনা। আমি জানি ওবায়েদ সাহেব যদি নিজের মঙ্গলের কথা না ভেবে সবার তথা দলের তথা দেশের কথা ভাবেন তবে আমি নিশ্চিত আমরা সবাই ওনার কাছ থেকে ভাল জিনিষটাই পাব এটাই সত্য। উনি যেভাবে ছাত্রদেরকে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে যাচ্ছেন এটা অব্যহত থাকলে ছাত্রদের মধ্যে একনিষ্ঠ কর্মী তৈরী হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আরো একটা জিনিষ সেটা হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি যারা করবে তাদের বয়সের সীমা নির্ধারন করা বিশেষ প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এখন আমার প্রস্তাব আমি সাধারন সম্পাদক ওবায়েদ সাহেবের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার (দলের সভাপতির) নিকট পাঠালাম এই প্রস্তাবটা কে বিবেচনায় নিতে। আল্লাহ্‌ আমাদের সাথে ছিলেন, এখনও আছেন ভবিষতেও থাকবেন ইনশ’আল্লাহ। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ