পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম নিয়ে কেউ যেন আর কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে আলেম-উলামাদের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন সরকারপ্রধান। ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই সরকার প্রতি উপজেলায় মডেল মসজিদ করছে বলে জানান তিনি।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।
মডেল মসজিদের উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করছি, ইসলাম ধর্ম যাতে আরও উন্নতভাবে পালন করতে পারে। ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা যাতে পায়। ইসলামের মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার যাতে ঘটে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই সত্যিকারের ইসলামের চর্চা হোক। প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই এই মডেল মসজিদ করা হয়েছে। আমাদের সমাজে আলেম-উলামাকে সবাই শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখে। এজন্য সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দূরীকরণে তাদের ভূমিকা জরুরি। তাদের বয়ানে মানবিক গুণগুলোর কথা যেন উঠে আসে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এর দ্বারা ইসলামেরও বদনাম হয়। এজন্য এ সম্পর্কে সবার সচেতনতা কামনা করেন তিনি। ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে অভিভাকদের সচেতন থাকতেও বলেন সরকারপ্রধান।
আওয়ামী লীগ সবসময় ইসলামের খেদমত করে জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ইসলামের খেদমতে অনেক অবদান রেখে গেছেন। আমরাও বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে ইসলামের খেদমত করে চলেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।