পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাবিবুর রহমান : আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল জেলা ও উপজেলা এলাকায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল এবং অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। গতকাল শুক্রবার দেশের সকল জেলা প্রশাসক এ পরিপত্র কার্যকর শুরু করেছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিপত্রের আলোকে ১৯৮৩ সালের মোটর ভেহিক্যালস অধ্যাদেশের ৮৮ ধারা অনুযায়ী দেশের সকল মহানগর ও জেলার এবং উপজেলা এলাকায় যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৭ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন যানবাহন হলো- বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, টেম্পো, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেল। তবে এ নিষেধাজ্ঞা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/ বিদেশি পর্যবেক্ষক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমনÑ অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ওই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে না। গতকাল শুক্রবার খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আহসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৮ ডিসেম্বর খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও সব উপজেলা এলাকায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল এবং অস্ত্রবহন ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে ২২ প্রার্থী। এদের সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়াও দেশের ১৬টি জেলায় মাত্র দু’জন করে প্রার্থী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১১ ডিসেম্বর। গত ২০ নভেম্বর তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলা পরিষদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। ৩ ও ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৯ জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২ জন বিনা প্রতদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২ হাজার ৯৮৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৮০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাধারণ সদস্য ১৩৯ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না। জেলাগুলোতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নিজ নিজ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য (সাধারণ ও সংরক্ষিত) নির্বাচন করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।