Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতের কালো টাকা বাংলাদেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কা

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অনেক ভারতীয় নাগরিক তাদের কালো টাকাকে নতুন ২ হাজার রুপিতে রূপান্তর করে তা বাংলাদেশে পাচার করছে বলে আশঙ্কা করছে ভারত।
দেশটিতে কালো টাকা ও এর মালিকদের বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগের সাম্প্রতিক কড়াকড়ি আরোপ করার পর এ প্রবণতা তৈরি হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ মেঘালয়ের ওয়েস্ট গারো হিলস ডিস্ট্রিক্ট-এর নকচি থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ২৯ লাখ ৭০ হাজার রুপি জব্দ করা হয়। এ অর্থগুলো নতুন চালু হওয়া ২ হাজার রুপির নোটে রূপান্তরিত করা ছিল। এ টাকার মালিক এক ভারতীয় কাপড় ব্যবসায়ী। মেঘালয়ের গাসুয়াপাড়ার এক কয়লা রফতানিকারকের কাছে ওই মুদ্রাগুলো পাঠানো হচ্ছিল। গারো হিলস অঞ্চলের জন্য গাসুয়াপাড়া এলাকাটি কয়লা রফতানির কেন্দ্র বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আওতায় এখান থেকে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ কয়লা বাংলাদেশে আসে। আর তাতেই ভারতীয় গোয়েন্দাদের মনে সন্দেহ জেগেছে বলে উল্লেখ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। সন্দেহ করা হচ্ছে, কয়লার চালানের সঙ্গে টাকাগুলো বাংলাদেশে নিরাপদে রাখার জন্য পাচার করা হচ্ছে।
এক অসমর্থিত সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ভারতীয় জাল মুদ্রা প্রবেশের একটি পরিচিত পথ। বাংলাদেশি কয়েকজন বেআইনি চোরাকারবারি যারা ভারত থেকে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত, তারা এখানেও জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। একইভাবে বিপরীত চিত্রও সম্ভব। একই কারবারিদের মাধ্যমে ভারতীয়রা বাংলাদেশে কালো টাকা পাচার করে থাকতে পারে।’
বিএসএফ-এর এক মুখপাত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান, হিল রোডে অভিযান চালাতে গিয়ে নসিব মিয়া (২৩) ও বিলাল হোসেন (২২) নামের দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। দু’জনই আসামের মানকাচরের পুবেরগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।
বিএসএফ-এর মুখপাত্র বলেন,‘আটককৃত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জব্দকৃত মুদ্রাগুলো সঞ্জয় আগারওয়াল নামের মানকাচরের এক কাপড় ব্যবসায়ীর। টাকাগুলো লোফু সাংমা নামের একজন কয়লা রফতানিকারককে হস্তান্তরের কথা ছিল। গাসুয়াপাড়ার বালাজি কয়লা রফতানিকারক কোম্পানিতে কাজ করেন তিনি।’
মুখপাত্র আরও জানান, ওই জব্দকৃত অর্থের মধ্যে ১ হাজার ৮৪৫টি নতুন ২ হাজার রুপির নোট এবং কিছু ছোট অঙ্কের নোট ছিল। এছাড়া একটি প্যান কার্ড, একটি ভোটার আইডি ও দুটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, দুটি সিম কার্ডসহ একটি মোবাইল ও একটি মোটর সাইকেলও জব্দ করেছে বিএসএফ। জব্দকৃত জিনিসপত্রসহ আটককৃত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, জব্দকৃত অর্থের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা নিয়েও তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ওই সূত্র বলেন, ‘আমরা লিবারেশন আর্মি জড়িত থাকার সম্ভাবনার কথা এ মুহূর্তে উড়িয়ে দিতে পারছি না। সীমান্তজুড়ে তাদের ঘাঁটি আছে এবং অর্থ স্থানান্তরের জন্য তারা এই রুট ব্যবহার করে থাকতে পারে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ