পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনদের বিক্ষোভের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) আরো ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে মেশিনগুলো চালু হলে রোগীদের সঙ্কট অনেকটা কেটে যাবে। ডায়ালাসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সপ্তাহজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই নতুন এই ১০টি মেশিন সরবরাহ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালের ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিনের পাশাপাশি কোভিড ওয়ার্ডের তিনটি মেশিনও বাইরের রোগীদের ডায়ালাইসিসের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এখানে একই মেশিনে দিনে তিনটি করে সেশন সেবা দেওয়া হবে। এতে ১৩টি মেশিনে দিনে ৩৯ রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ থেকে গ্রেফতার মাদরাসা ছাত্র ও কিডনি রোগী নাসিরন আক্তারের ছেলে মোস্তাকিমের (২২) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সাথে পুলিশের রিমান্ড আবেদনও নামঞ্জুর করে তাকে কারা ফটকে জিজ্ঞাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোস্তাকিমের আইনজীবী মানবাধিকার নেতা জিয়া হাবিব আহসান। তিনি বলেন, মহানগর হাকিম মো. অলি উল্লাহ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালত আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে মামলার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন পেশ করারও আদেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে চমেক হাসপাতালের সামনের সড়কে অবরোধ ও বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ মোস্তাকিমকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে মোস্তাকিমকে প্রধান আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করে পুলিশ। এজাহারে অজ্ঞাতনামা আরো ৬০ জনকে আসামি করা হয়। পরদিন আদালতে হাজির করে মোস্তাকিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়। গতকাল এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানিতে মোস্তাকিমের পক্ষে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী অংশ নেন।
চমেক হাসপাতালের অধীন স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা দেয়। গত ১ জানুয়ারি থেকে একবারের ডায়ালাইসিস ফি ভর্তুকিতে ৫১০ টাকার পরিবর্তে ৫৩৫ টাকা এবং ভর্তুকি ছাড়া দুই হাজার ৭৮৫ টাকার পরিবর্তে দুই হাজার ৯৩৫ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি এত দিন যেসব রোগী মাসে কমপক্ষে আট থেকে ১২টি ডায়ালাইসিস সেবা ভর্তুকিতে পেতেন, তারা এখন থেকে চার থেকে ছয়টির ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাবেন। বাকিগুলো প্রতিটি দুই হাজার ৯৩৫ টাকায় করাতে হবে। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা। এই পরিস্থিতিতে চমেক হাসপাতালে ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে। মেশিনগুলো বসানোর জন্য হাসপাতালের নেফ্রোলজি ওয়ার্ডে জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্তমানে এই ওয়ার্ডে চারটি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু রয়েছে। এগুলোতে অন্তর্বিভাগের রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। নতুন এই মেশিনগুলোয় অন্তর্বিভাগের পাশাপাশি স্যানডোরে এত দিন সেবা নেওয়া বাইরের রোগীদেরও কম মূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করা হবে। যারা ভর্তুকি পেয়ে আসছিলেন, সেসব রোগীরা এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সুপারিশ অনুযায়ী ডায়ালাইসিস করাতে পারবেন। চমেক হাসপাতালে স্যানডোরে ৩১টি মেশিন রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে তারা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সেবা দিচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।