Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাখাওয়াতের পরাজয়ের ব্যাখ্যা দিলেন গয়েশ্বর

শেষ খেলাটা কী হবে এটা নিয়ে আমরা অবগত ছিলাম না

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের কোনো দাবি না জানালেও ভোটের ব্যবধানকে অবিশ্বাস্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নাসিক নির্বাচনের সমন্বয় কমিটির প্রধান আহ্বায়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের ১৭৪টি কেন্দ্রে সরকার সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন এক লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ ভোট। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭শত দশ ভোট।  
গতকাল শুক্রবার গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচনের ফলাফল অপ্রত্যাশিত। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। যারা আমাদের পোলিং এজেন্ট ছিলেন এবং যাদেরকে নির্বাচনে দায়িত্ব দিয়েছিলাম তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। নাসিক নির্বাচনে সরকার সমর্থিত প্রার্থী আইভীর জয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি প্রার্থীর পরাজয়ের সম্ভাব্য নানা দিক নিয়ে তুলে ধরেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, আমার নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা ১৯৭০ সাল থেকে। কোথাও ব্যর্থ হয়নি। এবারই ব্যর্থ হওয়ার নতুন অভিজ্ঞতা হলো। শেষ খেলাটা কী হবে এটা নিয়ে আমরা অবগত ছিলাম না। যখন কেউ অপকর্ম করে একই কৌশলে পরবর্তীতে আবার সেই অপকর্ম করে না। অজানা  কৌশলের প্রশ্রয় নেয়। সেই অজানা কৌশলকে আবিষ্কার করতে হবে। এতে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, আমি লোকাল এজেন্টদের আবার ডাকবো। যদি এমন কোনো কথা তাদের থেকে থাকে যা নির্বাচনের আগে বলতে পারেনি সে কথাও শুনবো। আমাদের অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা ছিল কি-না তাও বের করার চেষ্টা করবো।
এই নীতিনির্ধারক বলেন, দলের কিছু নেতা বেচাকেনা হয়ে থাকলেও ভোট এদিক সেদিক হওয়ার সুযোগ ছিল না। এমন কোনো  ভোটার নেই যার কাছে যাইনি। ৮০ শতাংশ লোকের মুখে হাসি পেয়েছি। বুঝেছি আমাদের লাইনের লোক। বলেছিলাম আপনার ভোটটা আপনি যাকে ইচ্ছা দিয়েন। আপনার ভোট যাতে আরেকজন না দেয়।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম দেখলাম টেলিভিশনে অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করছে। দেখেছি ৫  কেন্দ্র থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ফলাফলের পার্থক্য একই রকম গতিতে ছিল। ফলাফলে কখনোই আপ-ডাউন ছিল না। পার্থক্যটা একই রকম ছিল। কেন্দ্রে কম-বেশি ভোট হয়। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম হয়েছে।
বিএনপির নেতা বলেন, বাক্স আগেই ভরে রেখেছে এমন একটা সংবাদও আমার কাছে আসছে। একটা পারসেন্টেজ ভোট আগে থেকেই তারা হয়তো বাক্সে রেখেছে। মনে করেন দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার বিরতির সময় দুটি ব্যালট ভর্তি বাক্স হয়তো তারা রেখে এসেছে। এটা আপনি চাইলেও ধরতে পারবেন না। কারণ ব্যালট বাক্সের কোনো সিরিয়াল ছিল না।
তিনি বলেন, স্থানীয় নেতাদের মাঝে বৈরিতা থাকতে পারে। যতকিছুই থাকুক ভোটারের সঙ্গে ধানের শীষের একটা সম্পর্ক ছিল। ধরুন, শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভীর দ্বন্দ্ব। তাই বলে আওয়ামী লীগের কেউ তো আর ধানের শীষে ভোট দেবে না। যত দ্বন্দ্ব থাকুক তারা নৌকাতেই  ভোট দেবে।
তৈমূরের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি হয়ে এমন কথা বললে এটা সাজে না। দায়িত্বশীল হিসেবে তিনি এমন কথা বলতে পারেন না। মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রথমে উনাকে অফার করা হয়েছে, একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে গিয়াস উদ্দিন ও আবুল কামালকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা কেউ মেয়রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন না- এমনটাই বলেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ