পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ৬৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি তেলের বিষয়ে একটি রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। এ মাসের মধ্যেই খসড়া তৈরি হবে। এরপর প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম একইভাবে সমন্বয় করা হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন সংশোধনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিইআরসি আইন সংশোধন করা হয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে মূল্য নির্ধারণের জন্য। বিদ্যুতের খুচরা দাম বাড়ানো নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইতিমধ্যে এক দফা সমন্বয় করা হয়েছে। এখন খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় আছে বিইআরসি। তারা সব বিতরণ কোম্পানি, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের নিয়ে শুনানি করছে। এরপর তারা সব যাচাই-বাছাই করে দাম নির্ধারণ করবে। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। জনজীবনে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রভাব মূল্যায়ন করতেই তো শুনানি করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম অনেক বেড়ে গেছে। পুরোটা তো মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে না, কিছু অংশ সমন্বয় করা হচ্ছে। আরেকটা অংশ ভর্তুকি দিতেই হবে, এটা সরকার দিয়েও যাচ্ছে। আশা করি, বিইআরসি সহনীয় মূল্য নির্ধারণ করবে। ক্যাব বলেছে, দুর্নীতি ও অপচয় রোধ না করে দাম বাড়ালে তা অনিয়মকে উসকে দেবে। এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় বিদ্যুৎ খাতে কারিগরি ক্ষতি (সিস্টেম লস) ৪৪ শতাংশ ছিল। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়েও এটি ২২ শতাংশ ছিল। এখন ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। সাধারণ গ্রাহকের অসচেতনতায় কিছু অপচয় হতে পারে। আরও সাবধান হতে হবে।
দেশে চলমান গ্যাস-সংকটের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, খোলাবাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনা বন্ধ করা হয়েছে। তাই সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বাসাবাড়িতে গ্যাসের একটা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আছে। এখন মূল দৃষ্টি হলো শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো। একই সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ। তরল জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে খরচ বেশি পড়ে আর গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে খরচ কমে। জ্বালানি সাশ্রয়ে গত বছর বেশ কিছু নির্দেশনা পালন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে ঢাকা শহরে ১৭ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার কমেছে ওই সময়। নতুন একাধিক বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে, তবু আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিং হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনে হয় না আগের মতো হবে। বিদ্যুতের ভালো সরবরাহ থাকবে। দুই বছরের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে দেড় হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। বাংলাদেশ সরকার ও চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড (বিসিআরইসিএল) যৌথ উদ্যোগে দুটি সোলার পার্ক নির্মাণ করছে। এগুলো হলো সিরাজগঞ্জে ৬৮ মেগাওয়াট এবং পাবনার সুজানগরে ৬৪ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার সোলার পার্ক। দুটি প্রকল্পই বাস্তবায়নের পথে। এবার সিরাজগঞ্জে ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পের পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) ও ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) সই হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছোট ছোট সোলার পার্ক তৈরি করে হলেও রিনিউয়েবল এনার্জির আওতায় আনার চেষ্টা করছি। কারণ, এর (রিনিউয়েবল এনার্জি) উৎপাদনে কোনও জ্বালানি খরচ হয় না, চার্জ লাগে না। বর্তমানে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে পাওয়ার অপেক্ষায়। আগামী দুই বছরের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পের নির্মাতা বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের (বিসিআরইসিএল) সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, বিসিআরইসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এম. খোরশেদুল আলম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।