ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
বাংলামতি ধান উৎপাদনের এখনই সময়
গত বছর সরকারের কার্যকর সমর্থন, অনুকূল আবহাওয়া, কোটি কৃষকের কঠোর শ্রমে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত চাল উৎপন্ন হয়েছিল। এখন আমাদের উন্নত মানের চাল উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। যতদূর মনে পড়ে ২০০৮ সালে বিআরআরআই একটা ধানের পদ আবিষ্কার করে, যার নাম ‘বাংলামতি’। উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে এবং ফলাফল খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। খবরে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল যে, বাংলামতি ধান আমন এবং আউশ উভয় ঋতুতেই উৎপাদন করা যায়। আরো আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল যে, দশ বছরের মধ্যে দেশের অর্ধেক ধানী জমিতে বাংলামতি ধান চাষ হবে। আট বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, ঢাকার পাইকারি বাজার অর্থাৎ বাবুবাজার ও বাদামতলিতে বাংলামতি চালের দেখা মেলে না। ধনী লোকেরা সামাজিক উৎসবে আমদানি করা বাসমতি চাল ব্যবহার করছে। এই চালের দাম বেশি বলে সাধারণ মানুষ তার স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে না। বাংলামতি চালের উৎপাদন বাসমতি অপেক্ষা দ্বিগুণ হওয়ার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। এতে সকলেই বাংলামতি চালের স্বাদ গ্রহণে সক্ষম হবে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাংলামতি চাল প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য রপ্তানিও করা যাবে। এটা বৈদেশিক মুদ্রা আয়েরও একটি উপায় হবে। তাই প্রতিটি উপজেলায় বাংলামতি চালের উৎপাদন বাড়াতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে, যার মাধ্যমে বাংলামতি ধান উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত বীজ ও উৎপাদন উপকরণ সহজলভ্য হবে এবং কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে তারা তাদের জমিতে বাংলামতি ধান উৎপাদন শুরু করে।
মোঃ আশরাফ হোসেন
১২০ সেন্ট্রাল বাসাবো, ঢাকা-১২১৪
অতিথি পাখি হত্যা করবেন না
অতিথি হলো ঘরের লক্ষ্মী। বাঙালি জাতি খুব অতিথিপরায়ণ। এখন মনে হয় দিন বদলেছে। আমরা অতিথিদের ধরে ধরে হত্যা করছি। বলছিলাম অতিথি পাখির কথা। ওরা শীতকালে আসে। ঠা-া থেকে রক্ষা পাবার জন্য। একটুখানি আশ্রয়ের জন্য। আমাদের ক্ষতি করে না। বরং প্রকৃতির উপকার করে। ওদের উপস্থিতিতে প্রকৃতি নব রূপ পায়। আইনত নিষিদ্ধ হলেও অতিথি পাখি ধরা হচ্ছে। প্রকাশ্যে হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মতোই কিছু মানুষ অতিথি পাখি কিনছেন। কেউ কিছু ভাবছেন না। অতিথি পাখি ধরা বিক্রিÑ এসব বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে সব দেখিয়ে দেয়। তারপরেও ব্যবস্থা নেয় না স্থানীয় প্রশাসন। কেন্দ্রীয়ভাবে তো কিছু করা লাগে না। প্রচলিত আইনে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পরে। প্রজনন মৌসুমে প্রায় বারো হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় আমরা ইলিশ ধরা বন্ধ করতে পেরেছি। কমেছে ঝাটকা ধরা। এ রকম দুঃসাধ্য কাজ যদি করা সম্ভব হয়, তাহলে অতিথি পাখি ধরা বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন? বরিশালে সচেতন নাগরিকরা ডিসির নেতৃত্বে অনেকগুলো খাল উদ্ধার করেছে। কল্যাণমূলক কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যে স্পটগুলোতে অতিথি পাখি ধরা হচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে। সেখানকার নাগরিকগণ সচেতন হলেই হয়। তারাই পাখি শিকারিদের ধরিয়ে দিতে পারেন। অতিথি পাখি নিধন বন্ধে আমাদের সচেতন হতে হবে।
শফিকুর রহমান
বনানী, ঢাকা।
বেসরকারি কলেজসমূহ জাতীয়করণ সম্পর্কে
২৬ অক্টোবর ২০১৬ মাউশির অফিস আদেশে ১. অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৬ অক্টোবর ২০১৬ পত্রসূত্রে পরিদর্শনকৃত কলেজসমূহের তথ্য প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালকবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে। আদেশে যেসব তথ্য চাওয়া হয়Ñ ১. প্রতিষ্ঠানের নাম, উপজেলা ও জেলার নাম ২. প্রতিষ্ঠার সন ৩. ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪. নিজস্ব জমির পরিমাণ ৫. ভবনের আয়তন ৬. এমিপওভুক্ত কিনা ৭. এমপিওভুক্ত জনবল ও আর্থিক সংশ্লেষ ৮. নন এমপিওভুক্ত জনবল ও আর্থিক সংশ্লেষ ৯. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি আছে কিনা ১০. সংশ্লিষ্ট উপজেলায় আর সরকারি কলেজ আছে কিনা। উল্লেখ্য, অনেক কলেজ তালিকাভুক্ত হয়নি; অথচ ওই কলেজগুলো তালিকাভুক্ত কলেজের চেয়ে মাউশির মানদ-ে জাতীয়করণের জন্য যোগ্যতার। বিশেষত গাজীপুর জেলায় ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতিপ্রাপ্ত কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ। জাতীয়করণের জাতীয় নেতা-নেত্রীর নাম স্মৃতি বিবেচ্য হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর বয়স, অবস্থান, ভূসম্পত্তি, আয়, অবকাঠামো, শিক্ষার্থী সংখ্যা, যোগাযোগ সুবিধাও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সব সরকারি অফিস যেমন সদরে থাকে, তেমনি সরকারিকরণেও ‘সদর’ গুরুত্বের দাবিদার। কাজেই আগে ‘সদর’ তারপর ‘প্রতিষ্ঠানবিশেষ’ জাতীয়করণ কাম্য, কিন্তু ‘সদর বঞ্চিত’ থাকলে ওই ক্ষতি-ক্ষত রয়েই যাবে।
পরিশেষে কেবল পরিদর্শনকৃত কলেজসমূহের তথ্যের ভিত্তিতে নয় বরং মাউশির মানদ-ে যোগ্যতম কলেজটি জাতীয়করণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব কলেজের তথ্য বিবেচনায় আনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ,
কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর-১৭৩০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।