পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ি গ্রামে পাথর থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে ২ পুলিশ সদস্য মারধরের শিকার হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে চোর চোর বলে ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনার পর ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই মো. শাহাব উদ্দিন খান তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি দায়ের করার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা স্থানান্তর করা হয়নি।
সাধারণ ডায়রিতে তিনি উল্লেখ করেন, কনস্টেবল মো. সুমন মিয়া ও মো. শাহরিয়ার হোসাইন গত ২৪ ডিসেম্বর সাদাপাথর চুরি রোধে ডিউটি ছিল। কিন্তু তারা ডিউটিতে না গিয়ে ও ফাঁড়ির ইনচার্জকে না বলে অসৎ উদ্দেশ্যে কলাবাড়ি চলে যায়। তিনি সাধারণ ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করেন ইতিপূর্বে উক্ত কনস্টেবল দ্বয় তাকে না জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। তাদেরকে সতর্ক করার পরেও তারা চেইন অফ কমান্ড অমান্য করেন। এমন সাধারণ ডায়েরি দায়ের করার পরেও এই ২ পুলিশ সদস্য ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা বদলিও করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২৪ ডিসেম্বর রাত ১০টায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ও শাহরিয়ার পাথর ভর্তি ট্রলির খবর পান। খবর পেয়ে সাদা পোশাকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে কলাবাড়ি নদীর পাড়ে চলে যান। সেখানে গিয়ে পাথর ভর্তি ট্রলি থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের সাথে তারা বাগবিতÐায় লিপ্ত হোন। এর এক পর্যায়ে বেলচা দিয়ে সুমন ও শাহরিয়ারকে তারা মারধর করেন এবং চোর চোর বলে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, পুলিশকে টাকা দিয়ে নদী থেকে তারা পাথর সংগ্রহ করেন। এর পর আবার ট্রলি দিয়ে পাথর পরিবহনের সময়ও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। ট্রলি যেই ক্রাশার মিলে পাথর বিক্রি করে সেই ক্রাশার মিল থেকেও টাকা নেয় পুলিশ। পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে শ্রমিকেরা ২ পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন।
উল্লেখ্য, ধলাই নদীর সাদা পাথর কালাইরাগের লাল পাথর ও শাহ আরেফিন টিলার পাথর থেকে পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এসব এলাকায় যারা ডিউটিতে যায় তারাই টাকার বিনিময়ে পাথর উত্তোলন ও পরিবহনের সুযোগ করে দেন। এ ছাড়াও প্রায় সময় পাথর পরিবহনের ট্রলি ও নৌকা ধরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর কাছে পুলিশ সদস্য সুমন ও শাহরিয়ারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের সাথে কলাবাড়ি গ্রামে মারামারির কোন ঘটনা আমার জানা নাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।