Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনগণে ভোট দিলে আছি : শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

যেখানেই থাকি, আমরা জনগণের সেবা করে যাব মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের জনগণের কল্যাণে কী কী করেছে, তার বিস্তারিত খতিয়ানও ভাষণে তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনগণের শান্তিতে বিশ্বাসী, জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। জনগণ ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আওয়ামী লীগ দেশ গড়ার জাতীয় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। যদি বিজয়ী না করে, তাহলে আমরা জনগণের কাতারে চলে যাব। তবে, যেখানেই থাকি, আমরা জনগণের সেবা করে যাব। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি)

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই ভাষণ আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা হয়।

টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকারের চতুর্থ বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের এক বছর বাকি থাকতেই ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ গোষ্ঠীর সরব তৎপরতা শুরু হয়েছে, যাদের লক্ষ্য ‘ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। সরকারের বর্তমান মেয়াদ শেষে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে। কাজেই কোনো ধরনের ‘মিথ্যাচার আর অপপ্রচারে’ বিভ্রান্ত হবেন না। তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এমন কোন উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন যোগাবেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন থেকেই স্বাধীনতা বিরোধী, ক্ষমতালোভী, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী আর পরগাছা গোষ্ঠীর সরব তৎপরতা শুরু হয়েছে। এদের লক্ষ্য ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। গণতন্ত্রেও অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা। এরা লুণ্ঠন করা অর্থ দিয়ে দেশে-বিদেশে ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী এবং বিবৃতিজীবী নিয়োগ করেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরা মিথ্যে এবং ভুয়া তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বাংলাদেশে এই প্রথম একটি আইন পাস করা হয়েছে। সেই আইনের আওতায় সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সরকার সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে। তবে ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সেদিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি বলেন, কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমালের এবং জীবিকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের শুরুতেই সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের চার বছরপূর্তি উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রবাসী ভাইবোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আপনাদের খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৩-এর শুভেচ্ছা জানাই। টানা ১৪ বছর সরকারে থেকে আওয়ামী লীগ দেশকে কী দিতে পেরেছে, সেই বিচারের ভার দেশের মানুষের ওপর ছেড়ে দিলাম। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে একটানা ১৪ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। এই ১৪ বছরে আমরা দেশ এবং দেশের জনগণকে কী দিতে পেরেছি- তার বিচার-বিশ্লেষণ আপনারা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে একটানা ১৪ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। এই ১৪ বছরে আমরা দেশ এবং দেশের জনগণকে কী দিতে পেরেছি- তার

বিচার-বিশ্লেষণ আপনারা করবেন। ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখনও বিশ^ব্যাপী মন্দা চলছিল। চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ছিল আকাশচুম্বী। অন্যদিকে মানুষের ক্রক্ষমতা ছিল নি¤œমুখী।

বিদ্যুতের অভাবে দিনের পর দিন লোডসেডিং চলতো। গ্যাসের অভাবে শিল্পকারখানার মালিকেরা যেমন হাহাকার করতো, তেমনি চূলা জ¦লতো না মানুষের বাড়িতে। সারসহ কৃিিষ উপকরণের উচ্চমূল্য এবং জ¦ালানি তেলের অভাবে কৃষকের নাভিশ^াস উঠেছিল। এমনি এক অর্থনৈতিক দূরবস্থারর মধ্যে আমরা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেই। নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা রূপকল্প-২০২১ প্রণয়ন করি এবং জনগণের সামনে তুলে ধরি। জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠনের পর সেই ইশতেহারের আলোকে আমরা আশু করণীয়, স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগগ্রহণ করি। দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে শুরুতেই কৃষি, জ¦ালানি, বিদ্যুৎসহ কয়েকটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কয়েকটি ছোট বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করি। খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই রাসায়নিক সারের দাম কমিয়ে দেই। এরপর আরও দু-দফায় সারের দাম হ্রাস করে কৃষকের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় আনা হয়। এমনিভাবে প্রতিটি খাতে আমরা পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেই।

তিনি বলেন, রূপকল্প ২০২১-এর পর আমরা রূপকল্প ২০৪১ এবং বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করেছি। রূপকল্প ২০২১-এ আমরা অন্যাস্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। আজকে

স্পষ্টচিত্তে বলতে পারি, আমরা সে প্রতিশ্রুতি পূরণে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, রূপকল্প-২০৪১ লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশে^র মানচিত্রে

প্রতিষ্ঠিত করা। বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এর লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে একটি টেকসই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে হিসেবে টিকিয়ে রাখা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে। দেশের শতভাগ মানুষবিদ্যুতের আওতায়। নিজস্বগ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্ধিত চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করে এলএনজি আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত আজ মধ্যবিত্ত-নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারে গ্যাসের চূলায় রান্না হয়। আমরা নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পন্সাসেতু নির্মাণ সম্পন্ন করেছি। এই সেতু দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে সড়ক পথে ঢাকা এবং অন্যান্য জেলার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে আমরা যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলল স্পর্শ করেছি। কিছুদিনের মধ্যেই শুধু বাংলাদেশেই নয়, চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাতাল

সড়কপথ- বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের মাধ্যমে আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হবে। পাবনার ঈশ^রদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রস্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আমরা ২০১৮ সালের মে মাসে মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ এ দেশের মহৎ এবং বৃহৎ অর্জনসমূহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্যদিয়ে আমরা অর্জন করি মহানস্বাধীনতা। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন যুদ্ধ-বিধস্ত দেশ পুনর্গঠনের মাধ্যম অর্থনীতিকে মজবুত ভিত্তির উপর দ্বার করানোর দ্বারপ্রান্তে, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তাঁকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করে স্তব্ধ হয় বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা।

 

সংশোধনী
দৈনিক ইনকিলাব-এর ৬ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে প্রকাশিত সংখ্যার প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সনে ‘প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন কাল’ শিরোনামে ভুলবশত ‘আজ’ এর স্থলে ‘কাল’ প্রকাশিত হয়েছে। মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদান করেছেন। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত। বা. স.



 

Show all comments
  • Harunur Rashid ৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:২৫ পিএম says : 0
    Free and fair election you may not vote for your self madam PM.
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Mannan ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের স্বার্থে-- প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি - আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Lutfur Rahman Nasim ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৬ এএম says : 0
    আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৪ বছর পুর্তি আজ সকল ষড়যন্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে বদলে গেলো সমগ্র বাংলাদেশ জয় বাংলা।
    Total Reply(0) Reply
  • Mojib Sayed Raojan ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৭ এএম says : 0
    নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উদ্ধগতির লাগাম টেনে ধরা সময়ের দাবী। ঘুষ দূনীতি ন্যায় বিচারের আশু সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা অবশ্যই করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Uzzal Biswas Uzzal Biswas ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৭ এএম says : 0
    দেশরত্ন বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মা কে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই মহান সৃষ্টি কর্তা অাপনার মঙ্গল করুক এই কামনা করি।
    Total Reply(0) Reply
  • নাজমুল রাহী নাজিম ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৭ এএম says : 0
    উন্নয়নের রোল মডেল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক অনেক ধন‍্যবাদ-শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন !
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Mamataj Shirin Mayna ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৮ এএম says : 0
    মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে হেফাজত করুন!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ