পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720338022](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তারেক সালমান, মো. হাফিজুর রহমান মিন্টু ও হাবিবুর রহমান নারায়ণগঞ্জ থেকে : কোন রকম গোলযোগ, বিশৃঙ্খলা ছাড়াই গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ওই ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিলো তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।
এদিকে ভোটার কিংবা প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া না গেলেও হেভিওয়েট দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খান পাল্টাপাল্টি কিছু অভিযোগ করেছেন। এরমধ্যে সাখাওয়াত বলেছেন, ‘ভয়ভীতি দেখানোর কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম’। আর আইভী অভিযোগ করেন, ‘নারী ও কর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে, যার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে।
অপরদিকে গতকাল ভোটের শুরুতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আইভী ও সাখাওয়াত দু’জনই জয় নিশ্চিত বলে আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে, ভোট গ্রহণ চলাকালীন সময়ে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান। এ ছাড়াও নাসিকে মেয়র পদে আরও ৫জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন কোদাল প্রতীকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি এজহারুল হক, হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি মাছুম বিল্লাহ। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৮ জন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ২৭টি পদে ১৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, নাসিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন ১৬টি সংস্থার ৩১৮ জন দেশি ও একটি বিদেশি সংস্থার দুইজন পর্যবেক্ষক। এছাড়া ছিলেন ১ হাজার ১৪২ জন গণমাধ্যমকর্মী। এদের মধ্যে ৬৮৩ জন টেলিভিশন, ৩২৬ জন প্রিন্ট মিডিয়া এবং ১১৩ জন অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মী নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন।
রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার ইনকিলাবকে জানান, নির্দিষ্ট সময়ে নগরীর প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
দলীয় প্রতীকের এই সিটি কর্পোরেশন এলাকার সব কেন্দ্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভোটারদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে দেখা গেছে। নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮ জন। ১৭৪ ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৩০৪টি ভোট কক্ষে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ হাজার সদস্য এ নির্বাচনে নিয়োজিত ছিলেন। মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয় সেজন্য প্রতি ওয়ার্ডে অচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ভোটগ্রহণের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিটি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে আরো ৯জন ম্যাজিট্রেট নিয়োজিত ছিলেন। নির্বাচনী অপরাধের তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত বিচারের (সামারি ট্রায়াল) জন্য ১৪ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিলেন। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২২ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নামানো হয়। ভোট গ্রহণের পূর্ববর্তী দুইদিন, ভোটের দিন ও ভোট পরবর্তী একদিনসহ মোট ৪ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন থাকবে। সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ২২ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে ২৪ জন পুলিশ ও আনসার নিয়োজিত ছিল। নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন, আনসার, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও বিজিবির মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়। সকল মাবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স আজ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনে ১৭৪ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১ হাজার ৩০৪ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২ হাজার ৬০৮ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করে।
বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হয় ভোট গণনা। কড়া নিরপত্তার মধ্যদিয়ে ব্যালট বাক্স সড়ানো হয়। এর আগে প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রেই প্রকাশ করা হয়। এরপর সামগ্রিক ফলাফল নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, আগামী কাল (আজ শুক্রবার) সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এ সময় তিনি বলেন, আগামীকাল অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর শনিবার পর্যন্ত কোনো ধরণের বিজয় উল্লাস, মিছিল, সমাবেশ করা যাবে না।
নারায়ণগঞ্জ আদর্শ হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৮টার সময় নারায়ণগঞ্জ আদর্শ হাইস্কুল কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনিই জয়ী হবেন। নির্বাচন সুন্দর হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকলে ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেবেন বলেও জানান তিনি।
এসময় তার সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারও উপস্থিত ছিলেন।
পশ্চিম দেওভোগ শিশুবাগ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন আইভী
এ দিকে নৌকা প্রতীকের প্রাথী সেলিনা হায়াৎ আইভী সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে ১৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দেওভোগ শিশুবাগ স্কুলে নিজের ভোট দেন। এ সময় আইভী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, মেয়র থাকাকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জবাসী আমার উন্নয়নমূলক কর্মকা- প্রত্যক্ষ করেছেন। তাই তারা নৌকাকেই বেছে নেবে উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে। খুব সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আজকের দিনটি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য একটি বিরল দিন। এতো সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন নারায়ণগঞ্জবাসী এর আগে দেখেনি। তিনি আরো বলেন, আশা করি বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই পরিবেশ বজায় থাকবে। আমি আগেও বলেছি, ফলাফল যাই হোক আমি জনতার রায় মেনে নেব।
আইডি কার্ড আছে তালিকায় নাম নেই, ক্ষুব্ধ অনেকেই
ভোট দিতে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে কিছু ভোটারকে। তাদের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার অনুপাতে ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় তারা ফিরে যান। এ নিয়ে ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে বেশ কিছু ভোট কেন্দ্র থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যান। ভোটার তালিকায় ত্রুটির কারণে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। যার ফলে ভোট দিতে এসেও তারা ভোট দিতে পারেনি।
এমনই একজন ভোটার বরকত উল্লাহ। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের ভোটার। সকালে তিনি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসেন। কিন্তু, ভোটার লিস্টে তার নাম না থাকায় তাকে ভোট প্রদান করতে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুধু বরকত উল্লাহই নন। তার মতে এমন আরও অনেকেই ভোটকেন্দ্রে এসেও ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছেন। তাদের চোখে মুখে ছিলো তীব্র ক্ষোভ।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে দু’হেভিওয়েট প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
শঙ্কার মধ্যেও নারায়ণগঞ্জে হয়েছে স্বস্তি ও শান্তিপূর্ণ ভোট। তারপরও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন এ নির্বাচনে অংশ নেয়া হেভিওয়েট দুই মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাখাওয়াত হোসেন খান।
ভোট চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করাকালীন সময়ে পৃথকভাবে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। এরমধ্যে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আইইটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান অভিযোগ করেন, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এজন্য ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম। তিনি বলেন, মানুষ ভীত হয়ে বা কারও প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ভোটকেন্দ্রে আসছেন না। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীও অভিযোগ করেন, নারী ও কর্মীদের হয়রানী করা হচ্ছে।
আইভীকে প্রকাশ্য ভোট দিলেন শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বার একাডেমি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ভোট দেয়ার পর ব্যাালট পেপার সবাইকে দেখান সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। গতকাল বৃহস্পতিবার গোপনকক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে সবার সামনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেন তিনি। এরপর আইভীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আইভী যেন আইসক্রিম তৈরি রাখেন।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের সবুজ ও গোলাপী ব্যালটও এ সময় তার হাতে ভাঁজ করা ছিল। অন্য হাতে ছিল দুই আঙুল উঁচানো বিজয়ের চিহ্ন। ভোটারদের ভোটকক্ষের ‘গোপনকক্ষে’ গিয়ে ব্যালটে সিল মারার বিধান থাকলেও শামীম তা ভাঙলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে তার ‘আর কোনো বিরোধ না থাকার’ প্রমাণ দেখানোর জন্য।
গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে তিনি খানপুরে নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি কেন্দ্রে যান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভোট দিয়ে আসি, তারপর কথা বলি। আইসক্রিম রেডি করেন, আইসক্রিম খাব।
এরপর ব্যালট দেখিয়ে সবার সামনে নৌকা প্রতীকে সিল মারেন। সাংবাদিকদের ছবি নেয়া হয়ে গেলে বাক্সে রাখেন ব্যালট।
কেন্দ্র মাঠে শামীম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, আজকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে, যেটা নষ্ট করার জন্য কয়েকটি মিডিয়াসহ একটি মহল ব্যাপক চেষ্টা করেছিল। আমরা প্রমাণ করেছি, নারায়ণগঞ্জের মানুষ যেমন শান্তিপূর্ণ, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগও।
ভোটারের উপস্থিতি কেমন- এমন প্রশ্নে শামীম বলেন, উপস্থিতি খারাপ না।
এ নির্বাচন ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আশা করি আগামী জাতীয় নির্বাচনও এভাবে নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে শান্তিপূর্ণভাবে হবে। আজকে যেমন জনগণ নৌকার পক্ষে রায় দেবে, আগামীতেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে রায় দেবে।
শামীম বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন ঘিরে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘দুটি টার্গেট’ ছিল। প্রথম টার্গেট ছিল নির্বান সুষ্ঠুভাবে করা। আমরা সেটা পেরেছি। আরেকটি চ্যালেঞ্জ নৌকার বিজয়। নৌকাও বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
আইসক্রিমের কথা আবার মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আইভীর বিজয় নিশ্চিত দেখে বলেছি- হয় খাব, না হয় খাওয়াব। নৌকার বিজয় হবে।
প্রকাশ্য ভোট দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে এমপি শামীম ওসামন বলেন, আমি ভেবেছি সবাই সাংবাদিক। নির্বাচনী আচরণবিধিতে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে কিনা আমি জানি না। আপনারা যদি ঢুকতে পারেন, জনগণ রাষ্ট্রের মালিক, তারা আপানাদের পিছে পিছে ঢুকে পড়েছে। এতো কর্মী এসেছে বুঝতে পারিনি। ওরা ঢুকে পড়েছে।
আইভী-শামীমের বিভেদের খবরের কারণেই এটা করলেন কি না জানতে চাইলে শামীমের উত্তর, সংবাদের খোরাক দেয়ার জন্য আমি নিজেকে রক্তাক্ত করলাম। তিনি বলেন, অন্যকে খুশি করতে আমি নিজেকে রক্তাক্ত করেছি।
ভোট বাহ্যিকভাবে সুষ্ঠু হয়েছে -বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচন ‘বাহ্যিকভাবে সুষ্ঠু’ হয়েছে মন্তব্য করে ‘শেষ মুহূর্তে ভোটের ফলাফলে ইঞ্জিনিয়ারিং’ হয় কিনাÑ সেই সংশয় প্রকাশ করেছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এই সংশয়ের কথা বলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বাহ্যিকভাবে আমরা সারাদিনে দুই-চারটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ভোট হওয়ার পরিবেশ দেখেছি। পরে কী হবে, সেটা আমরা এখনো জানি না। ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণার ব্যাপার আছে। এর মধ্যে কী হবে? রিজভীর দাবি, পর্দার অন্তরালে ফল পাল্টানোর বা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে বহুবার দেখা গেছে। এখন জানি না কী হবে? আমাদের আশঙ্কা, শেষ মুহূর্তে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং ঘটে কিনা। নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবেÑ ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা পর্যন্ত পর্দার আড়ালে কোনো কিছু যাতে না ঘটে সেটি তারা দেখবেন। ফলাফল ঘোষণা করা না পর্যন্ত দলের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রের ভেতরে এবং নেতা-কর্মীদের কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান রিজভী।
রিজভী বলেন, স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের প্রাকাশ্যে ভোটদানের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এতে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। এটাও ক্ষমতার দাপট দেখানোর অংশ, যা গণতন্ত্র অনুমোদন করে না। এই যে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীক ভোট দেয়া দেখানো হচ্ছে, এতেই বোঝা যায় যে সরকারের মনোভাবটা কী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আবুল খায়ের বাবলু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবউদ্দিন খোকন, শামা ওবায়েদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ফাহিমা মুন্নী, আসাদুল করীম শাহিন, সেলিমুজ্জামান সেলিম, মুনির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।