পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। বিদেশ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলে কোনো সমস্যা নেই। গতকাল যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের ৪ জন সংসদ সদস্য গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন অনেকটাই স্বাধীন। আমরা আপনাদের (যুক্তরাজ্য) ওয়েস্ট মিনস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতে সামরিক শাসকদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য আওয়ামী লীগের রয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসকেরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করত এবং রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা করত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ভোজ্যতেল বাংলাদেশে আসতো। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব পণ্যের আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এই জিনিসগুলোর দাম বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা সেখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাব।
যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা এ উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বিশেষ করে তারা (যুক্তরাজ্যের ৪ জন সংসদ সদস্য) ঢাকার মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেলসহ কানেকটিভিটির উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে এসব অবকাঠামো খুবই সহায়ক হবে বলে মনে করেন সংসদ সদস্যরা। ব্রিটেনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে সংসদ সদস্যরা বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়। দেশটির সংসদ সদস্যরা উল্লেখ করেছেন যে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। তারা আরো বলেন, যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ব্রিটিশ সহায়তার প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে গাছের চারা রোপণ এবং ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।
শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলোর অভিভাবক হিসেবে তিনি সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।