পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্যাতনের ঘটনা বাড়তে থাকায় সমাজে ন্যায়বিচার ধারণার প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা বেড়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সহনশীলতার অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। অসহনশীলতা ও অসহিষ্ণুতার প্রকাশ তীক্ষè থেকে তীক্ষèতর হচ্ছে। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়ন সূচকের অনেক ক্ষেত্রে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তারপরও দেশে কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে চলেছে। একটি মানবাধিকার সংস্থার জরিপের তথ্য উল্লেখ করে সুলতানা বলেন, এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ৮৯টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬৭১ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩২ জনের অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু ঘটেছে। ৫৯ জন কোনোভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছেন। ৪২২টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, অপ্রতিরোধ্যভাবে এসব ঘটনা বেড়ে চলেছে। যা মানুষের মনে এ হতাশাব্যঞ্জক অনুভূতি গেঁথে দিচ্ছে যে, এ দেশে অপরাধীর কোনো বিচার হয় না। ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সমাজে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে এবং অপরাধের শিকার যারা হবে, তারাই ভয়ে, সংকোচে মুখ লুকিয়ে বেড়াবে। সংঘাত, আক্রমণ দখলদারিত্ব যেন জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সেটা মেনে নেয়াও বেঁচে থাকার সর্বোত্তম কৌশল হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ন্যায়বিচারের ধারণার প্রতি মানুষের আস্থাহীনতার ফলে অসহায়, প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু মানুষ নিজেদের আরো অরক্ষিত ভাবতে শুরু করেছে। পক্ষান্তরে ক্ষমতাধর, দখলবাজ, আগ্রাসী দুর্বৃত্ত পরায়ন ব্যক্তিরা হয়ে উঠেছে চূড়ান্ত মৌলবাদী। তাইতো দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা লাভ করা প্রচন্ড সহিংস ঘটনা ঘটতে থাকে একের পর এক। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এদেশের মানুষের মন ও মননকে গ্রাস করতে থাকে। সুশাসনের চেহারা এখানে নিতান্তই অপরিচিত। এতে সবচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র সমাজ। তিনি বলেন, শিক্ষার পরিক্রমায় মানবিকতাবোধ ও বিজ্ঞানমনস্কতা মানুষকে সঠিক শিক্ষিত করে তোলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সহ সভাপতি ড. কাজী আনিস আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ইমরান রহমানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
চিংড়িতে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে প্রয়োজন সার্টিফিকেশন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চিংড়ি রপ্তানিতে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে হলে ভলেনটারি সার্টিফিকেশন দরকার। বিদেশি ক্রেতারা চিংড়ি আমদানি করার আগে এই সার্টিফিকেশন দেখতে চায়। তাই চিংড়ি বাজারজাতকরণে সার্টিফিকেশন প্রবর্তন পুরো শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
গতকাল রাজধানীর মৎস্যভবনে বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন (বিএসএফএফ) ও সলিডারিডেড নেটওয়ার্ক এশিয়া আয়োজিত এক কর্মশালায় এমন বক্তব্য উঠে আসে। কর্মশালার শিরোনাম ছিল ‘ভলেনটারি সার্টিফিকেশন ফর পজিশনিং গলদা অ্যান্ড বাগদা এস দ্য প্রিমিয়াম ব্যান্ডস ইন দ্য ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট’।
কর্মশালায় গলদা ও বাগদা চিংড়িকে প্রধান রপ্তানি পণ্যে পরিণত করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে চিংড়ি শিল্পের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য এর উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়ার কথা হয়। সেই সাথে আন্তর্জাতিক ক্রেতা টানতে এর গুণগত মানের ওপরও সমানভাবে জোর দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, চিংড়ি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক সার্টিফিকেশনের প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ক্রেতা পণ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। কিন্তু সবার আগে দরকার এর বাস্তব প্রয়োগ। শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। তারা বলেন, সনদ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশী রফতানিকারকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং চিংড়ি পণ্য আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদে সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ চিংড়ি শিল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ওয়ার্কিং কমিটি ফর সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ শ্রিম্প সেক্টর-এর চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফকির ফিরোজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সৈয়দ আরিফ আজাদ। বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।