পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ওষুধনীতি বাস্তবায়নে সরকার বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। যে ওষুধ মানুষের জীবন বাঁচায়, সেই ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিমালা মেনে ব্যবসা করতে হবে। ওষুধনীতি প্রণয়ন ও মডেল ফার্মেসি চালুর মধ্য দিয়ে নকল ও ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান আরো জোরালো হল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকাল রাজধানীতে মডেল ফার্মেসি প্রকল্প উদ্বোধনকালে একথা বলেন। ধানমন্ডির লাজ ফার্মা এবং গ্রীন রোডের বায়োমেড ফার্মেসিকে নতুন আঙ্গিকে চালুকরণের মধ্য দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো মডেল ফার্মেসির কাজ শুরু হলো আজ থেকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মডেল ফার্মেসি ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
ওষুধের দোকানগুলোকে ফার্মেসি ও মেডিসিন শপ হিসাবে দুই ভাগে চিহ্নিত করে সরকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। মডেল ফার্মেসিকে কমপক্ষে ৩০০ বর্গফুট বিশিষ্ট ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। সার্বক্ষণিক রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগসহ সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা মেনে মডেল ফার্মেসি কাজ করবে।
শীঘ্রই প্রতি জেলায় কমপক্ষে একটি করে মডেল ফার্মেসি চালু করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য ওষুধ শিল্প ও ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মান যথাযথ রাখার পাশাপাশি সঠিক ওষুধের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে মডেল ফার্মেসি ভূমিকা রাখবে। এর ফলে ভেজাল ওষুধের সাথে জড়িতরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। তাই এ ধরনের দোকান স্থাপনে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ওষুধ নীতি অনুযায়ী প্রত্যেক মডেল ফার্মেসিতে ৩৯টি প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়া সব ধরনের ওষুধ বিনা প্রেসক্রিপশনে বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হবে। ফলে অযথা এন্টিবায়োটিক-এর ব্যবহার হবে। রোগীদের জন্য নিরাপদ ওষুধ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে এই উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
পরে মন্ত্রী মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে বাংলাদেশ মডেল ফার্মেসি ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের লোগো এবং ওষুধের দোকান পরিচালনা নীতিমালা পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। যদিও এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুপুর পর্যন্তও জানতেন না। এমনকি মডেল ফার্মেসি প্রকল্প উদ্বোধনের পর এই অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে সংশয়ও দেখা দেয়। এমনকি কোন মিডিয়াকেও বলা হয়নি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ওষুধনীতি প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ব ম ফারুক, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ শফিউজ্জামান, ইউনিমেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, লাজ ফার্মার স্বত্বাধিকারী লুৎফর রহমানসহ বাংলাদেশ ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট সমিতির প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।