পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাশেম চৌধুরী ওরফে কাশেম চেয়াম্যানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার ২০ বছর পর গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী এই ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন কাশেম চেয়ারম্যান। পরে তিনি দুবাইতে পালিয়ে যান। এক মাস আগে দেশে ফিরেন। পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতেই জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এই মামলায় মোট সাক্ষী ৮৪ জন। তাদের মধ্যে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
২০০৩ সালের ২৪ জুলাই নগরীর চকবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় ফেরার সময় তাকে অপহরণ করা হয়। তখন তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। অপহরণের পর তার মুুুুুুক্তিপণ হিসাবে প্রথমে কোটি টাকা পরে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই টাকা দেওয়া হলেও তা বেহাত হয়ে যায়। এরপর ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরে তাকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে গ্রেফতার আসামি সুলতান ড্রাইভার জিজ্ঞাসাবাদে বলেছিলেন, জামাল উদ্দিনকে কাঞ্চননগরের গহিন পাহাড়ে নিয়ে যান তিনি। জামাল উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার আগ পর্যন্ত তার সঙ্গে ছিলেন তিনি, কালা মাহবুব, লম্বা মাহবুব ও টেংরা ওসমান। কাশেম চেয়ারম্যানের নির্দেশে জামাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। জামাল উদ্দিনের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই বছর পর অপহরণের অন্যতম হোতা আনোয়ারা সদরের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শহীদকে গ্রেফতার করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে জেলার ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর পাহাড়ি এলাকা থেকে ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করে র্যাব।
সিঙ্গাপুরে ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়, কঙ্কালটি জামাল উদ্দিনের। এর আগে প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী, অপহরণকারী চক্রকে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিল পরিবার। কিন্তু জামাল উদ্দিনকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। মামলাটি তদন্ত করেন পুলিশের ৯ জন কর্মকর্তা। তদন্ত শেষ হতে লাগে সাড়ে তিন বছর। ২০০৬ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কাশেম চেয়াম্যানসহ ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এর বিরুদ্ধে নারাজি দেন বাদী জামাল উদ্দিনের পুত্র ফরমান রেজা চৌধুরী। মামলার আসামি কালা মাহবুবকে রাজসাক্ষী করায় আপত্তি জানিয়ে মারুফ নিজাম ২০০৭ সালে উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ পান। ২০১১ সালে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে আসামিরা লিভ টু আপিল করেন। এটি খারিজের আদেশ চট্টগ্রাম আদালতে এসে পৌঁছায় ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আদালত সিআইডির দেওয়া ২০০৬ সালের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করে। ইতিমধ্যে মারা যান দুই আসামি। পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। বর্তমানে মামলার ১৪ আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন মাত্র একজন। তার নাম মো. আলমগীর। জামিনে আছেন ছয়জন। বাকিরা পলাতক। এখন কাশেমও কারাগারে গেলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।