Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অলিম্পিক এক্সেসরিজের এজিএম ২০ মিনিটেই শেষ

| প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি অলিম্পিক এক্সেসরিজের ১৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে ১০টা ২০ মিনিটে শেষ হয়েছে। মাত্র ২০ মিনিটেই এজিএমের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। এজিএমে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা কয়েকজন। দ্রুত এজিএম শেষ করার কারণে ১০টা ২০ কিংবা ২১ মিনিটে আসা বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী এজিএমে অংশ নিতে পারেননি।
এজিএমে কোম্পানির চেয়ারম্যান ফরিদা আক্তার বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গত বছর কোম্পানি বেশ ভাল পারফর্মেন্স করেছে। বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সঠিক কর্মকৌশল এবং দক্ষ নেতৃত্বের কারণে কোম্পানি ভালো করতে পেরেছে।
৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ সময়ে শেয়ার প্রতি আয় বেড়ে ১.৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরে আমরা বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করেছি। আশা করি সামনের বছর আরো বেশি ডিভিডেন্ড প্রদান করতে পারব। অলিম্পিক এক্সেসরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরটি আমাদের জন্য বেশ সাফল্যের বছর ছিল। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর এবারই সর্বোচ্চ মুনাফা করতে সমর্থ হয়েছে। ক্রেতাদের সন্তুষ্টি এবং পণ্যের গুণগত মানের কারণে এটি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আমরা ভালো ডিভিডেন্ড প্রদান করতে পেরেছি।
আশা করছি আগামীতে বিনিয়োগকারীদের আরো ভাল ডিভিডেন্ড প্রদান করতে পারব। সভায় বিনিয়োগকারীরা এজিএমের এজেন্ডা এবং কোম্পানি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের অভিমত তুলে ধরেন।
একজন বিনিয়োগকারী স্টক ডিভিডেন্ড প্রদানের বিষয়ে বলেন, কোম্পানি সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা স্টক ডিভিডেন্ড চাই না। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের তেমন কোনো লাভ হয় না। যারা পরিচালক তারাই শুধু লাভবান হন। স্টকের বদলে আমরা ক্যাশ ডিভিডেন্ড চাই।
তাই আমরা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে আগামীতে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। অপর একজন বিনিয়োগকারী বলেন, কোম্পানি পরিচালনার ক্ষেত্রে সুশাসন বজায় রাখতে হবে। কোম্পানির উন্নতির জন্য ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা থাকা আবশ্যক।
বিনিয়োগকারীদের লগ্নি করা অর্থ যাতে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
এজিএমে বিনিয়োগকারীরা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন এবং পরিচালক ও নিরীক্ষকের প্রতিবেদন অনুমোদন করেন। তাছাড়া সমাপ্ত অর্থ বছরের জন্য ১২ স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদন, মো. গোলাম সারোয়ার এবং রিফাত বিন কিবরিয়াকে পরিচালক হিসেবে পুন:নিয়োগের অনুমোদন, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. মমিনুল হকের পদত্যাগপত্র অনুমোদন এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কোং কে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সম্মানীর বিনিময়ে নিরীক্ষক নিয়োগের এজেন্ডা অনুমোদন করেন বিনিয়োগকারীরা।
উল্লেখ্য, এজিএমে অলিম্পিক এক্সেসরিজের চেয়ারম্যান ফরিদা আক্তার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক মো. গোলাম সারোয়ার, রিফাত বিন কিবরিয়া, স্বতন্ত্র পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন, কোম্পানি সচিব মো. ঘাবিবুল্লাহসহ কোম্পানির কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। -ওয়েবসাইট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ