পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমন ধানের বাম্পার ফলনের পরও অস্থির চালের বাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। দেশে এখন চালের দেশে এখন চালের কোনো সংকট নেই। আগামী জুন পর্যন্ত সংকটের কোনো আশঙ্কাও নেই। বরং এবার ৪২ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। তারপরও চালের দাম কেন বাড়ছে? এর কারণ জানতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মাঠপর্যায়ে এক গবেষণা চালিয়েছে। তাতে দেখা যায় চালকল মালিক ও খুচরা বিক্রেতাদের অতিরিক্ত মুনাফার কারণেই বাড়ছে চালের দাম। সম্প্রতি ব্রির এ গবেষণা প্রতিবেদনটি এক অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চালকলের মালিকেরা কেজিতে ৮-১৪ টাকা লাভ করছেন। কৃষকের উৎপাদন খরচও কিছুটা বেড়েছে। পাশাপাশি ধানের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া কিছু মিলার ও ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, করপোরেট গ্রুপগুলো চালের বাজারে ঢুকে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর ফলেও বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর আমনের উৎপাদন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১ কোটি ৬৩ লাখ টনে পৌঁছে যাবে। বোরো ২ কোটি ৪ লাখ টন ও আউশ ৩০ লাখ টন ধরে মোট উৎপাদন হবে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টন। দৈনিক জনপ্রতি ৪০৫ গ্রাম করে চালের ভোগ হিসাব করলে ১৭ কোটি মানুষের জন্য বছরে চালের প্রয়োজন হবে ২ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার টন। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদনের কাঁচামাল ও প্রাণিখাদ্য (নন-হিউম্যান) হিসেবে ১ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টন ব্যবহৃত হবে। সুতরাং এরপর উদ্বৃত্ত থাকবে ৪২ লাখ টন।
অকালবন্যা ও অতিরিক্ত বৃষ্টিতে এ বছর বোরো ও আউশ উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। এ অবস্থায় আমনের উৎপাদন বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাই চলতি মৌসুমে কৃষি মন্ত্রণালয় আমন চাষে ৫৯ লাখ হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৬১ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়। তবে আমনের বাম্পার ফলে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।