পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পর্যটন মৌসুম শুরুর পর থেকে পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় বেড়েই চলেছে। বছর শেষে স্কুলের ছুটি, নব-বর্ষবরণ, সাপ্তাহিক ছুটি সব মিলিয়ে দেশের পর্যটন স্পটগুলোতে এখন বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে এখন লাখো পর্যটনের ভিড়। বান্দরবান, খাগড়া ছড়ি, রঙ্গামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্পটগুলোও পর্যটকদের উপস্থিতিতে মুখর। অন্যদিকে হাওর-নদী আর পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা বৃহত্তর সিলেটর পর্যটন এলাকাগুলোতে এখন ভ্রমণপিপাসুদের উপচে পড়া ভিড়। সব মিলিয়ে দেশের পর্যটন শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের সৌন্দর্যে যুগ যুগ বহু পরিব্রাজক ও ভ্রমণকারী মুগ্ধ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা অপরিসীম। আমাদের রয়েছে সুবিশাল সমুদ্রসৈকত, পাহাড়, জলপ্রপাত, প্রত্নতত্ত্বের প্রাচুর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতি আমাদের দেশকে পরিণত করেছে একটি বহুমাত্রিক আকর্ষণসমৃদ্ধ অনন্য পর্যটন গন্তব্যে। দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় দুই শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। এই খাতে প্রায় ৪০ লাখ লোক কাজ করে। বছরে আয় হয় ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরে দেশে আগত পর্যটকদের মাধ্যমে আয় হয়েছে ২ হাজার ২৭৯ কোটি টাকার কিছু বেশি, যা ২০২০ সালে ছিল ১ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা। এতে আয় বেড়েছে ৫৯ শতাংশ।
দেশের পর্যটন এলাকাগুলোর সার্বিক অবস্থা নিয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্ট নিয়ে গতকাল প্রথম পর্ব প্রকাশের পর আজ দ্বিতীয় পর্ব তুলে ধরা হলো।
সিলেট থেকে ফয়সাল আমীন জানান, করোনা মহামারির পর চলতি বছরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত সিলেটের পর্যটন শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে টানা তিনদিনের ছুটিতে সিলেটে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটির সঙ্গে বড় দিনের ছুটি যুক্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেটে বেড়াতে এসেছিলেন ভ্রমণপিপাসুরা। ফলে হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসে পর্যটকে ছিল পরিপূর্ণ। এরমধ্যে ইংরেজী নববর্ষ, বিদ্যালয় ছুটিসহ চলতি সপ্তাহেও সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলোতে রয়েছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা এ মৌসুমে স্থানীয় অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করতে বিরাট ভূমিকা রাখবে সিলেটের পর্যটন খাত। অপরদিকে, বিভাগের পর্যটন বান্ধব জেলা মৌলভীবাজারে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এবারও ২৩ থেকে ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি ও ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে টানা ৩ দিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছিল। আবাসিক হেটেল-মোটেল-রিসোর্ট কোথাও রুম খালি ছিল না। এতে এই জেলার পর্যটন খাতে পাঁচ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল-রিসোর্ট মালিকদের সংগঠন শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থা।
দেশে পর্যটন শিল্পের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট। এখানে সারি সারি পাহাড় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আকাশের গায়ে। পাহাড়ের গাঁ ছুয়ে উড়ে যাচ্ছে মেঘের ভেলা। হাত বাড়ালেই যেন ছোঁয়া যায়। পাহাড়চূড়া থেকে নেমে আসছে সফেদ ঝর্ণাধারা। গড়িয়ে যাচ্ছে পাথরের বুক মাড়িয়ে। প্রকৃতির এমন অভাবনীয় অপরূপ দৃশ দেখা যায় সিলেটে। প্রকৃতিকন্যা হিসেবে খ্যাতি পাওয়া এই সিলেট তাই বরাবরই পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। খানিকটা লম্বা ছুটি হলেই সিলেটে ভিড় জমে পর্যটকদের। এবার বছর শেষে স্কুলের ছুটি ও নববর্ষ উপলক্ষ্যেও হাজারও পর্যটকের ভিড় সিলেটে। এতে হাসি ফুটেছে এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। করোনার ধাক্কা পেরিয়ে দীর্ঘদিন পর পর্যটক সমাগম বেশি হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ‘ঈদ আনন্দ’ বিরাজ করছে।
সিলেটের পর্যটনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা জাফলং, লালাখাল, শ্রীপুর, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, শাপলা বিল, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পান্থুমাই জলপ্রপাত, হবিগঞ্জের কমলারানীর সাগর দীঘি, সাতছড়ি, রেমা কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য মৌলভীবাজার জেলার মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওর, মাধবপুর লেকে হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়। এছাড়া সিলেটে যতো পর্যটক আসেন, তিনি যে ধর্মাবলম্বীই হোন না কেন, অন্তত একবার হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.) এর মাজারে ঢুঁ মারার চেষ্টা করেন। অপরদিকে, অপার সৌন্দর্যের মুগ্ধতায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর দেখতে এমনিতেই পর্যটকদের বাঁধভাঙা জোয়ার। এতদিন পর আশানুরূপ পর্যটকের আগমনে খুশি এখানকার দোকান-রেস্তোরাঁ মালিক, নৌকার মাঝি, ফটোগ্রাফারসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন পর সাদা পাথরে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটছে। ফলে আমাদের ফটোগ্রাফারদের আয় অন্য সময়ের তুলনায় দুই-তিনগুণ বেড়ে গেছে।
খুলনা থেকে ডিএম রেজা সোহাগ, পদ্মা সেতুর কারণে রাজধানী থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব মাত্র চার ঘণ্টায় নেমে আসায় সুন্দরবনে পর্যটকের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। নববর্ষকে সামনে রেখে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সুন্দরবন। ভ্রমণপিপাসুরা ছুটছেন নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সুন্দরবনে। নগর জীবনের যান্ত্রিকতাকে পেছনে ফেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা ছুটে আসছেন সুন্দরবনে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুন্দরবনের ৬টি রূপ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, গাছগাছালি, জীববৈচিত্র্য, সাথে রয়েছে ট্যুর অপারেটরদের চমৎকার আতিথেয়তা সব মিলিয়ে চমৎকার একটি সময় পার করছেন পর্যটকরা।
গত কয়েকদিন ধরে সুন্দরবনের করমজল, দুবলার চর, হিরনপয়েন্ট, কোকিলমুনি, হারবারিয়া-সব স্থানেই দেখা গেছে পর্যটকদের ভিড়। করমজল পর্যটন স্পটে পর্যটকের সংখ্যা বেশি। করমজলে রয়েছে কৃত্রিম বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র, চিড়িয়াখানা, বনের ভিতরে দীর্ঘ কাঠের ব্রিজ ওয়াকওয়ে, সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার। এই ওয়াচ টাওয়ার থেকে সুন্দরবনের বড় একটি অংশ এক নজরে দেখা যায়। ওয়াকওয়ে দিয়ে হাঁটার সময় চোখে পড়ে বানর আর হরিণের দল। বানরগুলো নির্ভয়ে সামনে চলে আসে। একইভাবে হিরনপয়েন্টসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলোতেও বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। দুর্ভাগ্য অথবা সৌভাগ্যক্রমে ডোরাকাটা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখাও মেলে কোনো কোনো সময়। নদ-নদীতে দেখা মেলে কুমির ও ইরাবতী ডলফিনের। সুন্দরী গড়ান গেওয়া কেওড়া গাছের ডালে ডালে হাজার হাজার পাখির মিলন মেলা ও কলতানে দেখে পর্যটকেরা মুগ্ধ হচ্ছেন।
সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাজহারুল ইসলাম কচি জানান, বিলাসবহুল জাহাজে সুন্দরবনে ২ রাত ৩ দিনের ট্যুর পরিচালনা করা হয়। জাহাজ ভেদে মাথাপিছু ভাড়া ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্যাকেজ ট্যুরে কিছুটা অর্থ ছাড় দেয়া হয়।
খাগড়াছড়ি থেকে মো. ইব্রাহিম শেখ জানান, খাগড়াছড়িতে প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে এখন উপচে পড়া ভিড়। প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয ও ঝর্ণার শীতলতায় গা ভাসাতে পাহাড়ি কন্যা খাগড়াছড়িতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজারো সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটক। হোটেল-মোটেলে সব আগাম বুকিং। খাগড়াছড়ির আলুটিলার পর্যটন কেন্দ্র, জেলা পরিষদ পার্কের ঝুলন্ত সেতু, রিছাং ঝর্ণা, আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, মায়াবিনী লেকসহ প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকায় রাত পর্যন্ত পর্যটকরা ঘুরছেন নির্বিঘ্নে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম নানান দৃশ্য, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতির নজরকাড়া হাজারো চিত্র। চারপাশে বিছিয়ে রাখা শুভ্র মেঘের চাদরের নিচে রয়েছে সবুজ বনরাজিতে ঘেরা ঢেউ খেলানো অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড়। তার মাঝ দিয়ে চলে গেছে আঁকা-বাঁকা সড়ক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার রয়েছে বহু হোটেল-রেস্টুরেন্ট। বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসায় হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরাও খুশি। এ ছাড়া রাঙামাটিতে পর্যটকরা উৎসবে মেতেছে বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নসহ অন্যান্য এলাকায়। সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিং থাং জাওয়া লুসাই জেরি বলেন, সম্প্রতি সাজেকে অসংখ্য পর্যটক এসেছেন। কোনো রিসোর্ট ও কটেজ খালি নেই।
মৌলভীবাজার থেকে এস এম উমেদ আলী জানান, শীত আসলে পর্যটকদের ঢল নামে চায়ের দেশ মৌলভীবাজারে। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিনের সাথে সাধারণ সরকারি ছুটি যুক্ত হলে পর্যটকদের ঢল আরও বেড়ে যায়। গেল টানা ৩ দিনের ছুটিতে পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে পর্যটকের সর্বোচ্চ ঢল নামে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাকৃতির চির সবুজ এ দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। নববর্ষেও পর্যটকদের ভিড়ে মুখর থাকবে জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকাগুলো। জেলায় যে দিকে তাকানো যায়, সে দিকে শুধু সবুজে ঘেরা প্রকৃতির দৃষ্টি নন্দন সমারোহ। এসব দৃশ্য নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না প্রকৃতি যে কত সুন্দর। জেলার উঁচু-নিচু পাহাড়ী টিলা, হাওর, সমতল ভূমির মধ্যে অবস্থান রয়েছে চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেইক, বর্ষজোড়া ইকোপার্ক, মুরইছড়া ইকো পার্ক, বাইক্কা বিল, হামহাম জলপ্রপাত, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, সীমান্তবর্তী ধলই চা বাগানে অবস্থিত মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্যের বাহক বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, মনু ব্যারেজ, বদ্ধভূমি এলাকা, হরিণছড়া গলফমাঠ, শিতেশ রঞ্জনের চিড়িয়াখানা, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য রাজকান্দি বন, শমসেরনগর বিমানবন্দর, ২০০ বছরের প্রাচীন ছয়চিরী দিঘী, শমসেরনগর বাগীছড়া লেক, আলিনগর পদ্মলেক, খাসিয়া পুঞ্জি। এ ছাড়াও রয়েছে ছোট বড় অন্তত ৫০ পর্যটন স্পট। জেলার পর্যটকদের উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ সুবিধে না থাকলেও ক্রমেই পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকরা মনে করেন জেলার পর্যটন স্থানগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করে তোললে দেশি-বিদেশি পর্যটককের আগমন আরও বাড়বে। এতে করে এ শিল্প যেমন বিকশিত হবে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে এ এম মিজানুর রহমান বুলেট জানান, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। এছাড়া কুয়াকাটার সীমা বৌদ্ধবিহার, শ্রীঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন মার্কেট, তিন নদীর মোহনা, লেবুর বন, শুঁটকি পল্লি, ঝাউবন ও গঙ্গামতিসহ সকল পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। আগত পর্যটকরা প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দে মেতেছেন। পর্যটকদের এমন ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। নতুন বছরকে সাগত জানাতে আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে মোতায়েন রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আজ বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় ও নতুন সূর্যোদয়কে স্বাগত জানাতে পর্যটকদের আরো ভিড় বাড়বে বলে জানিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. সাদবিন বলেন, আমরা অনেক বন্ধুরা এসেছি থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন করতে। পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।