Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশকে পেছনে নেওয়ার অপচেষ্টা রুখতে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক বিপ্লব : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৫৭ পিএম

দেশকে পেছনে নেয়ার অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক বিপ্লবের আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র' শীর্ষক সেমিনার ও বাচসাস সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।

বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ-সভাপতি অঞ্জন রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, নির্বাহী সদস্য রাফি হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, 'দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা এবং আমাদের তরুণ সমাজকে বিপথগামিতা, মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই দেশে একটা সাংস্কৃতিক বিপ্লব দরকার। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ জানাবো, আসুন সবাই মিলে সেটি করি। কারণ, যারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' অর্থাৎ বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাও বলে শ্লোগান দেয়, তাদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করা দরকার।'

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বঙ্গবন্ধু সিনেমা ভালবাসতেন বলেই তার হাত ধরে সিনেমা শিল্প আমাদের দেশে চালু হয়েছে। গতবার আজীবন সম্মাননায় ভূষিত সোহেল রানা সিনেমা বানানোর পর বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধু 'ভালই তো করছ, অভিনয়েই থেকে যাও' বলায় বঙ্গবন্ধুর এক কথায় এই লাইনেই থেকে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সিনেমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন এ জন্য যে সিনেমাকে তিনি ভালবাসেন। কারণ, ভাল সিনেমা সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য সহায়ক।'

তিনি বলেন, জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে এফডিসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরুর পর আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যে উচ্চতায় চলচ্চিত্র শিল্প ছিল, মাঝখানে সেটি থমকে গিয়েছিল। একে একে সিনেমা হলগুলো সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল এবং ভাল সিনেমা, ভাল নির্মাতার অভাব সব মিলিয়ে থমকে গিয়েছিল। কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিনেমা হলের সংখ্যা একশ’র নিচে নেমে গিয়েছিল, সেটা আবার তিনশ’তে পৌঁছেছে।

ড. হাছান মাহমুদ এ বছর বাচসাস থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রশংসা করেন। তিনি সমিতির ৭ সদস্য আতাহার খান, সলিমউল্লাহ সেলিম, মাইনুল হক ভূঁইয়া, এ জেড এম রাহাগীর, এল এ সরকার বাচ্চু, বরুণ শংকর ও এস আর রেজার হাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। বাচসাস কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হুরায়রা মুরাদ, নির্বাহী সদস্য লিটন এরশাদ, মাইনুল হক ভূঁইয়া, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আমিনুর ইসলাম লিটন, রাশেদ আনিস, রাফি হোসেন, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ