পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মরমি গানের কিংবদন্তী আবদুল গফুর হালী আর নেই। গতকাল (বুধবার) ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর সার্সন রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্গীতের এই দিকপাল ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আবদুল গফুর হালীর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ৬০ বছর ধরে একটানা গান রচনাকারী এ গুণী ব্যক্তি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুই মাস হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছিলেন।
ইন্তেকালের সময় তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও অসংখ্য ভক্ত-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বড় ছেলে আব্দুল খালেক, ছোট ছেলে হালী নুর, বড় মেয়ে ফরিদা বেগম, ছোট মেয়ে চেমন আরা। এই কিংবদন্তীর বংশের একমাত্র শিল্পী তার নাতনী ফেরদৌস হালী, নাতি জুয়েল, সবুজ সকলেই গফুর হালীর ইন্তেকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গফুর হালীর ইন্তেকালে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে শেষবারের মতো দেখতে শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকরা হাসপাতালে ছুটে যান।
আবদুল গফুর হালী চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মাইজভা-ারী গানের কিংবদন্তী গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী। শেফালী ঘোষ, সন্দীপন, শিরিনসহ অনেক শিল্পীর উত্থান গফুর হালীর গান গেয়ে। হালীর গান নিয়ে জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাগ্রন্থ। ‘ও শ্যাম রেঙ্গুম নঅ যাইওরে’, ‘সোনাবন্ধু তুই আমারে করলিরে দিওয়ানা’, ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ ও ‘মনের বাগানে ফুটিল ফুলরে’ এবং ‘দেখে যারে মাইজভা-ারে হইতেছে নুরের খেলা’- এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের ¯্রষ্টা আবদুল গফুর হালী। তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের স¤্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত শিল্পী শেফালী ঘোষের সঙ্গীত গুরু।
সাংবাদিক গবেষক নাসির উদ্দিন হায়দার জানান, গফুর হালীর লাশ বুধবার নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির পিএইচপি হাইটসে রাখা হবে। আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ফটিকছড়ির মাইজভা-ার দরবারে প্রথম নামাজে জানাজা, জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাজা এবং শুক্রবার নিজ গ্রাম পটিয়ার রশিদাবাদ ইউনিয়নের শোভনদ-ীতে বাদ জুমা তৃতীয় ও শেষ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তার ইন্তেকালে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।