পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাঁচ দিন ধরে চলা তুষারঝড় ‘বম্ব সাইক্লোনে’ লন্ডভন্ড পূর্ব আমেরিকা। লাফিয়ে বাড়ল মৃতের সংখ্যা। এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে নিউ ইয়র্কের বাফেলো এলাকায়। তুষার ঝড়ের দাপটে একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এলাকাটি। মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবার উপরে। প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেই বিদুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে হাজার হাজার মার্কিনিকে। রাস্তায় জমে গেছে ৮ ফুট পুরু বরফ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে মার্কিন প্রশাসন। শুরু হয়েছে বরফ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ।
পাশাপাশি চলছে দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করার চেষ্টা। বিদ্যুৎ চালু করতে না পারলে এবং তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী না হলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৯৭৭-র পর এতো বিধ্বংসী তুষারঝড় আর কখনও দেখেনি নিউ ইয়র্কের বাফেলো। তুষারঝড়ের জেরে পূর্ব আমেরিকার প্রায় ২ লাখ বাসিন্দাকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে। বড়দিনের সকালে তুষারঝড় চলার সময় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ৪৮ ডিগ্রিতে। পরবর্তী থেকে পারদ সামান্য উঠে দাঁড়ায় মাইনাস ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি। তুষারঝড়ের সময় গাড়ি নিয়ে যেতে গিয়েই ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। গত সোমবার লাশ গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে তুষারঝড়ে ভেঙে পড়েছে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তারও। এ প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন নিউ ইয়র্কের গর্ভনর ক্যাথি হোসুল। তার কথায়, ‘এ তুষারঝড় মহাকাব্যিক, যা জীবনে একবারই আসে’।
তুষারঝড়ের জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মার্কিনিরা। বড়দিন ও বর্ষবরণের জন্য অনেকেই আলোর মালায় সাজিয়েছিলেন বাড়ি। তুষারঝড় টুনি বালবের সেই ডেকোরেশনকে মুহূর্তে উড়িয়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়ির উপর জমে গিয়েছে ৬ ফুট পুরু বরফ। প্রবল ঠান্ডায় ফ্রস্ট বাইটের শিকার হচ্ছেন অনেকে। উল্লেখ্য, সোমবার তুষারঝড়ের প্রকোপ কিছুটা কমলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এদিন ঘণ্টায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে বাতাস।
রাস্তায় পুরু বরফের আস্তরণ জমে থাকায় এদিনও বেশ কিছু জায়গায় যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় বাফেলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এদিন সন্ধ্যার আগে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম, জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।