পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাটকীয়ই বটে! নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সকালে। দুপুর গড়াতেই বিরোধী সিপিএন-ইউএমএল-সহ ছোট দলগুলো বাড়ায় সমর্থনের হাত। তাদের সমর্থনে নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সিপিএন-মাওয়িস্ট সেন্টার নেতা পুষ্পকুমার দহল ওরফে ‘প্রচন্ড’। গতকাল তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। ভারতের একটি পত্রিকার মতে, ভারতপন্থী হিসেবে বিবেচিত দিউবাকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার গঠন ভারত-নেপালের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ অতীতে ভূখণ্ড সংক্রান্ত বিষয়ে নয়াদিল্লিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছেন প্রচন্ড এবং কেপি শর্মা ওলি। দুজনই চীনপন্থী হিসেবে বিবেচিত অনেকের কাছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দলের সাথে চুক্তি হয়েছে প্রচন্ডের দলের। দুই দল থেকেই ভাগাভাগি করে হবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রচন্ডের দাবি মেনে তাকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সায় দিয়েছেন ওলি। তাই এখন প্রচন্ডই হচ্ছেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী। পরের দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন ওলি।
রোববার সকালেই নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দলের জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন প্রচন্ড। তাকে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রিত্ব দিতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী তথা নেপাল কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবা। এমনকি, প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের পদও নিজেদের দখলেই রাখতে চেয়েছিলেন দেউবা। সিপিএন-এমসিকে আপাতত স্পিকারের পদই দিতে চেয়েছিলেন। রাজি হননি প্রচন্ড। ওই কারণে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
এর পর রোববার ওলির বাসকোটের বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে প্রচন্ডের নেতৃত্বাধীন সিপিএন-এমসি, ওলির নেতৃত্বাধীন সিপিএন-ইউএমএল, রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি) এবং অন্য ছোট ছোট দল। ছিলেন সব দলের শীর্ষ নেতারা। নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে জোট সরকার গড়ার বিষয়ে একমত হয়েছে দলগুলো। সিপিএন-এমসি নেতা দেব গুরুঙ্গ জানান, নেপালের সংবিধানের ৭৬ (২) ধারা মেনে ১৬৫ জন আইনপ্রণেতা চুক্তিতে সই করেছেন। প্রেসিডেন্টের কাছে সেই চুক্তি পাঠানো হবে।
নেপালে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যসংখ্যা ২৭৫। সেখানে ১৬৫ জনের সমর্থন পেয়েছে নতুন জোট সরকার। তার মধ্যে সিপিএন-ইউএমএলের ৭৮ জনের সমর্থন পেয়েছে নতুন জোট সরকার। প্রচণ্ডের দল সিপিএন-এমসির ৩২ জনের সমর্থন রয়েছে। আরএসপির ২০ জন, আরপিপির ১৪ জন, জেএসপির ১২ জন, জনমত দলের ছয় ন এবং নাগরিক উন্মুক্তি পার্টির তিনজনের সমর্থন রয়েছে। সিপিএন-ইউএমএলের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখারেল বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও নেপালি কংগ্রেস সরকার গড়তে পারেনি। এখন প্রচণ্ডের নেতৃত্বে সিপিএন-ইউএমএলের নতুন সরকার গড়তে উদ্যোগী হয়েছে। তাতে সমর্থন রয়েছে ১৬৫ জন আইনপ্রণেতার।’
উল্লেখ্য, নেপালের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলো নেপালি কংগ্রেস। তাদের আসন সংখ্যা ৮৯। সরকার গড়ার জন্য ১৩৮ জনের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে নতুন জোট সরকারের ১৬৫ জনের সমর্থন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে আস্থাভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে প্রচন্ডকে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।