পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে ২০১৪ বা ১৮ সালের মতো নির্বাচন সরকার চায় না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় দেশে ২০১৪ বা ১৮ সালের মতো নির্বাচন না হোক। একটি অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হোক সেটাই সরকার চায়। আওয়ামী লীগ খেলেই জিততে চায় মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ শক্তিশালী দল, নির্বাচনে ওয়াকওভার চায় না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হোক সেটাই চায় সরকার। কিন্তু বিএনপির নির্বাচন নিয়ে যে ভীতি তা দূর করার দায়িত্ব সরকারের না। বিএনপির নির্বাচনী ভীতি দূর করা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব না। নির্বাচনে আসা তাদের কর্তব্য। বিএনপির আন্দোলন ও বিদেশি চাপ বিষয়ে নতুন কমিটির চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তিনি বলেন, বিএনপির অপরাজনীতি মোকাবিলা করাই এখন সরকারের সামনের দিনগুলোতে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সরকার তা শক্তভাবে মোকাবিলা করতে পারবে। এ সময় তিনি পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু নিয়েও কথা বলেন। জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়নি। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতিতে সবসময় চ্যালেঞ্জ থাকে। রাজনীতির মাঠ হচ্ছে উজান ঠেলে, প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, বিএনপির অপরাজনীতি একটা চ্যালেঞ্জ, বিএনপি নানা কুশীলবদের সাথে নিয়ে দেশবিরোধী যে অপতৎপরতা আন্তর্জাতিকভাবে, দেশীয়ভাবে যে অপতৎরতা চালাচ্ছে সেটি একটি চ্যালেঞ্জ। সমস্ত চ্যালেঞ্জকে আমরা মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তারা কি করতে চায় আমরা জানি, এবং সেটি মোকাবিলা করতে কি করতে হবে সেটাও আমরা জানি।
বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফের বক্তব্য বিএনপির গণমিছিল সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনা এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো রেগুলার ‘আন্দোলনের সূচনা’ করে। কিছুদিন পরপরই তারা আন্দোলনের সূচনা করে। আর তাদের গণমিছিলে লোক সমাগম আমরা দেখেছি, আপনারাও দেখেছেন, শুনেছেন। গুলিস্তানের মোড়ে দিনের ব্যস্ত সময় যখন লোক হেঁটে যায় তখন তাদের গণমিছিলের চেয়ে বেশি মানুষ হয়। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন হয়তো নিজে প্রশান্তি পাওয়ার জন্য কিম্বা তাদের কর্মীদেরকে একটু আশার আলো দেখানোর জন্য এ কথা বলছেন, এর বেশি কিছু নয়।
দলের শীর্ষ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় হাছান মাহমুদের মন্তব্য চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার কর্তব্য হচ্ছে সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করা। আগেও আমি সততার সাথে পালন করেছি। আমি বিগত দুই দশক ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য হিসেবে সবসময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেয়েছি, ভবিষ্যতের পথ চলাতেও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।