Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চার বছরে হত্যাকান্ডের শিকার এক হাজার ৮৫ জন শিশু

এএসডি আয়োজিত সেমিনারের তথ্য

| প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে ৪ বছরে এক হাজার ৮৫ জন শিশু হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে ২৯২ জন, ২০১৪ সালে ৩৬৬ জন, ২০১৩ সালে ২১৮ জন এবং ২০১২ সালে ২০৯ জন। আর ২০১৬ সালের প্রথম তিন মাসে ১৫২ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর আসাদগেটস্থ ওয়াইডব্লিউসিএ মিলনায়তনে এক সেমিনারে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়। মূল প্রবন্ধে এএসডি’র প্রকল্প কর্মকর্তা ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা বলেন, ২০১৫ সালে শিশুদের উপর নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা আগের বছরের থেকে ২২৫ ভাগ বেড়েছে। আর চলতি বছরে তা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করবে। তাই শিশু হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
শিশু অধিকার সুরক্ষায় কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এএসডি’র নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ. চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম আশরাফুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন, এএসডি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক মোজাম্মেল হক, ডন ফোরামের মাহবুব আরা, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের শাকিল ফেরদৌস, কাপ-এর রেবেকা সুলতানা, এসওএস শিশু পল্লীর হাসিনা পারভীন প্রমুখ।
সেমিনারে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেলপ লাইন সেন্টারের টোল ফ্রি ১০৯৮ নম্বরকে ব্যাপকভাবে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সংগঠিত করে তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গ্রাম ও শহরে বস্তি এলাকায় দরিদ্র পরিবারগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা-২০১৫’সহ শিশু অধিকারবিষয়ক সকল আইন ও নীতিমালা সকল স্তরে যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সারাদেশে শিশুদের উপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু হয়েছে, তা দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এভাবে হত্যা-নির্যাতন চলতে থাকলে আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের মধ্যে চলে যাবে। এই অবস্থায় সরকারকে আরো কঠোর অবস্থান নিতে হবে। শিশু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের সকলকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে আরো বেশী সতর্ক থাকতে হবে।
শিশুবিষয়ক অধিদপ্তর গঠনের আহ্বান জানিয়ে তারা আরো বলেন, হত্যা-নির্যাতনের পাশাপাশি সারাদেশে শিশু পাচার চলছে। পাচারকৃত শিশুদের তারা যৌন পেশাসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বাধ্য করছে। পাচার হওয়া শিশুরা নানা ধরনের নির্যাতন ও অন্ধকার জীবন বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এ বিষয়ে কাজ করতে পৃথক একটি অধিদপ্তর গঠন করা জরুরি বলে তারা দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ