পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মামলার রায় যত দ্রুত সম্ভব দিতে বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মামলার রায় যত দ্রুত দেওয়া যাবে অপরাধ প্রবণতা তত কমবে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন সরকার তা করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বিচারকদের জন্য আন্তর্জাতিকমানের জুডিশিয়াল একাডেমি করার ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া বিচার বিভাগের উন্নতির জন্য তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
বিগত সরকারগুলোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশটাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, মনে হচ্ছিল এটি পাকিস্তানের একটি প্রদেশ। মানুষের কাছে ভিক্ষা চেয়ে চলার অবস্থায় চলে গিয়েছিল। আমরা ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে আইনের শাসন নিশ্চিত করবো বলেছিলাম। আমরা নিজেরাই তো ভুক্তভোগী। বিচার পাাওয়ার অধিকারটুকুই আমরা হারিয়েছিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার করা হবে না বলে আইন করা হয়েছিল। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে খুনিদের বিচার হাত থেকে রেহাই দিয়ে তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। ৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স আইন বাতিল করে জাতির পিতার পরিবারের হত্যার বিচারের কাজ শুরু করি। সেসময় আমাদের অনেক বাধা আসে কিন্তু আমরা সব বাধা অতিক্রম করে পরে ২০০৯ সালে বিচারক তোফাজ্জেল সাহেব রায় কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল বলেই আমরা বিচার করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলাম তখন অনেক বাধা সৃষ্টি হয়। দেশের বাইরেরে রাষ্ট্রপ্রধানরাও এই বিচারের অনেক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, এমনকি কেউ কেউ আমার কাছে টেলিফোন করে কথাও বলে। তাদের শুরু আমি একটি কথা বলেছিলাম- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা অপরাধ করেছিল তাদের বিচার তো এখনও হচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের ওপর যারা নির্যাতন চালিয়েছে, হত্যা করেছে তাদের বিচার হবেনা কেন। এ ধরনের চাপ আমাদের ওপর হয়েছিল তারপরও আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে দেশের পাশাপাশি অনেক বিদেশি শক্তির বাধার মুখেও পড়েন বলে জানান শেখ হাসিনা। বড় বড় দেশের সরকারপ্রধানেরা সরাসরি ফোন দিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের বলেছি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের বিচার এখনও চলছে। তাহলে বাংলাদেশে হবে না কেন? লাখো মানুষের ওপর বর্বর অত্যাচারের বিচার করতে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় সচেষ্ট ছিল। তার দৃষ্টান্ত আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন।
বিচারকদের সুরক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিচারকরা রায় দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় নানাভাবে আক্রমণের শিকার হতে পারেন। সেজন্য আমরা বিচারকদের নিরাপত্তা জোরদার করার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে আরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিচার বিভাগে প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যেমন প্রযুক্তির ব্যবহার করে সুযোগ পাচ্ছি তেমনি এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসী কার্যকর্মের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। এজন্য আমরা আইন করছি, এর বিরুদ্ধে অনেকে অনেক কথা বলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। এ কারণেই এখন কিন্তু আগের মতো মল্লযুদ্ধ হয় না, এখন বোতাম টিপে হয়, এমনকি এখন অনলাইনে ট্রেনিং দেওয়া হয় কীভাবে বোমা বানাবে, কীভাবে মানুষ খুন করবে। কাজেই সব ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী আইনগুলোকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।