পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণসহ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, "সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য এবং বিশ্বজন স্বীকৃত। এ ঐতিহ্যকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।"
রাষ্ট্রপ্রধান আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ সম্প্রীতির এই বন্ধন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যেন ছিন্ন করতে না পারে, সেদিকেও সকলকে সজাগ থাকার তাগিদ দেন।
মহামতি যীশুখ্রিষ্টকে মানবজাতির আলোর পথের দিশারী উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে যীশুখ্রিষ্ট সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিষ্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষাও দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শান্তি আর সমৃদ্ধির এক জনপদ বাংলাদেশ এবং এ অর্জনের পেছনে রয়েছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের নিরলস শ্রম আর অব্যাহত প্রচেষ্টা।
"আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পেছনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিবাচক অবদান অনস্বীকার্য।"
আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনে সকলের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যরে বন্ধন আরো গভীর হবে।
তিনি বলেন, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলের মাঝে বড়দিনের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারলেই এ দিনটি উদযাপন তাৎপর্যপূর্ণ হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি, ঢাকার আর্চবিশপ বেজয় নাইসফরাস ডি’ক্রুজ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও সহ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ধর্মীয় নেতারা যোগ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।