পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর ব্যুরো : খুলনা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া রূপসা পরিবহনের ৪৩টি গাড়ি থেকে মালিক সমিতির নামে বছরে ৩ কোটি সাড়ে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে খুলনা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ গফফার বিশ্বাস, কার্যকরী সভাপতি শিবলি বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মোল্যা মজিবর রহমানের দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা এবং সমিতির নামে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে খুলনা-কুষ্টিয়া রুটে চলাচলকারী রূপসা পরিবহনের বাস চলাচল অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক হানিফ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিষদের ১৩ সদস্যের ৭ জনসহ পরিবহন মালিকরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তারা দাবি করেন, খুলনা থেকে প্রতিদিন রূপসা পরিবহনের ৪৩টি গাড়ি কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরিবহন ছাড়ার সময় খুলনা কাউন্টার থেকে ৪০০ টাকা, ঝিনাইদহ থেকে আপে ৪০০, ডাউনে ৩০০ এবং কুষ্টিয়া থেকে ৪৫০ টাকা আদায় করা হয়। একইভাবে গড়াই পরিবহনের ৪০টি গাড়ি থেকেও সমপরিমাণ টাকা আদায় করা হয়। এর বাইরে পরিবহন থেকে পথে পথে আরো ২০ থেকে ৫০ টাকা নেয়া হয়। কিন্তু এই টাকা থেকে সমিতির ফান্ডে জমা পড়ে মাত্র ৪০ টাকা। আর টার্মিনাল ফি, স্ট্যাটার, কলারম্যান, কাউন্টার আরপিও বাবদ ব্যয় করা হয় ১৫০ টাকা।
হানিফ হোসেন ও ফিরোজুল ইসলামের পক্ষের হিসাব মতে, প্রতিদিন গাড়িপ্রতি আদায় হয় ৪ হাজার ২০০ টাকা। ব্যয় হয় ১ হাজার ৯০০ টাকা। এ হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। এ হিসাবে মাসে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার এবং বছরে ৩ কোটি ৪০ লাখ ৫৬ হাজার টাকার কোনো হিসাব নেই। এই টাকা সমিতির সভাপতি আলহাজ গফফার বিশ্বাস, কার্যকরী সভাপতি শিবলী বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মোল্যা মজিবর রহমান আত্মসাৎ করেছেন।
গত ৮ বছর ধরে সমিতির নামে তারা এভাবে টাকা উত্তোলন করছেন এবং এর কোনো হিসাব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে হানিফ হোসেন ও ফিরোজুল ইসলামের পক্ষ গত ৩ ডিসেম্বর এবং ১২ ডিসেম্বর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সুফল না পেয়ে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোল্যা মজিবর রহমান বলেন, অনেক বছর ধরে একই নিয়মে অর্থ আদায় হয়ে থাকে। আমার কাছে মালিক সমিতির সদস্যরা সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন। আমি অভিযোগের বিষয়ে সভাপতিকে অবহিত করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের অভিযোগের কিছু তো সত্যতা আছেই।
এ বিষয়ে সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়ে মোবাইল রেখে দেন তিনি। সভাপতির মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।