Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমার পরিবার দুর্নীতি করেনি

আঘাত আসবে-ষড়যন্ত্র হবে : মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আঘাত আসবে, ষড়যন্ত্র হবে সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা দেশ গড়তে ক্ষমতায় এসেছি। আমার পরিবার দুর্নীতি করলে দেশের মানুষকে এতো কিছু (উন্নয়ন) দিতে পারতাম না। দুর্নীতি করে টাকা বানাতে ক্ষমতায় আসিনি। আমার বাবা প্রেসিডেন্ট ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমি চার চারবারের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের পরিবারের কেউ দুর্নীতিই যদি করত, তাহলে দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারতাম না। আমরা দেশের মানুষকে দিতে এসেছি, মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি। একারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, অন্তত আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে হিসেবে এটা মেনে নিতে পারি না। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিল ও ডেলিগেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে আঘাত আসবে, মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এর আগে সম্মেলন মঞ্চে জাতীয়সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এবারের সেøাগান ছিল ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দোয়েল চত্বর, রমনা কালীমন্দির গেট ও টিএসসি এবং চারুকলার বিপরীত গেট দিয়ে মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে ঢুকতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন রূপ নেয় জনসমুদ্রে। সম্মেলন স্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়। আগের দিন ২৩ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন কোন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হবে তা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিল। মূলত সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে বেশ কিছু সড়কের ১১টি পয়েন্টে বন্ধ রাখা হয় যানবাহন চলাচল। রাজধানীর কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, ভাস্কর্য ক্রসিং, উপাচার্য ভবন ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ও জগন্নাথ হল ক্রসিং সড়ক বন্ধ রাখা হয়।

সকাল থেকে সম্মেলনস্থলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীদের ঢল নামতে শুরু করে। এসময় সমাবেশস্থল ঘিরে সতর্ক অবস্থানে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরেজমিনে সমাবেশস্থল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকালে থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দোয়েল চত্বর, রমনা কালী মন্দির গেট ও টিএসসি ও চারুকলার বিপরীত গেট দিয়ে মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ও শিখাচিরন্তন সংলগ্ন গেট দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও অতিথিরা প্রবেশ করেন। সমাবেশস্থলের আশপাশে কঠোর নজরদারিতে থাকতে দেখা গেছে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর সদস্যদের। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা নেতাকর্মীদের জন্য গাড়ি রাখার স্থানও নির্ধারণ করে দেয়া হয়ে। আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সারাদেশের সাংগঠনিক জেলা থেকেও নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছিল।

বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসী উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি, ধন্যবাদ জানাই দেশের মানুষকে। তারাই আমাকে সাহস দিয়েছেন, শক্তি দিয়েছেন; আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছি। আজকে তিনটা আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর করেছি, চতুর্থটা হচ্ছে কক্সবাজারে। কিছুদিন আগেই একশোটা সেতু, একশোটা সড়কের উন্নয়ন; এটাও আমরা করতে পেরেছি। এর আগে কেউ কোনোদিন এভাবে করতে পেরেছে? আমরাই পারি দেশের উন্নয়ন করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্বাচন হয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কারো ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। এ দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। গণঅভ্যুত্থান, আন্দোলন হয়েছিল। খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। বাংলার জনগণ তাকে বাধ্য করেছিল। এর পরে ১২ জুন যে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে আমরা সরকার গঠন করি।
নির্বাচনের আগের রাতে ভোট চুরির অভিযোগ নাকচ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যদি জনগণের ভোট চুরির দুরভিসন্ধি থাকত, তাহলে খালেদা জিয়ার মতো ওই আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা করতাম। তা তো আমরা করি নেই। আমাদের জনগণের উপর আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। আমরা সেই বিশ্বাস নিয়েই চলি। নির্বাচন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আওয়ামী লীগই এনেছে। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন থাকায় ক্ষমতায় থাকতে আমাদের ভোট চুরি করতে হয় না।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসনামলে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন মানেই ছিল, আমরা যেটা বলতাম ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা। খালেদা জিয়ার শাসনকালে ‘এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার’ তৈরি করেছিল। সেই অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগই গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করেছে। ভোট দেওয়ার যে সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সেই অধিকার আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করেছে। অনেকে অনেক কথা বলে। কিন্তু আমরা সেটা করেছি।

নির্বাচন সংস্কারে আওয়ামী লীগ, ১৪ দল ও মহাজোটের প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি এক্ষেত্রে ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অবদানও স্বীকার করেন। তিনি বলেন, যাতে কেউ ভুয়া ভোট দিতে না পারে সেইজন্য ছবিসহ ভোটার তালিকা ফখরুদ্দিন সরকার করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর যে কাজই করুক, আমাদের জেল খাটাক, যাই করুক, তারা অন্তত সেই প্রস্তাবের কিছু কাজ বাস্তবায়ন করে গেছে। তিনি বলেন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ওই সিল মেরে আগেই ব্যালট বাক্স ভরবে, সেটা যেন না পারে, যে কেউ ভোট দিতে গিয়ে যেন দেখতে পারে সেখানে আগে থেকে ভোট ভরা আছে কি-না, সে জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এখন এটা চালু করা হয়েছে। ইভিএম চালুর প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে কিন্তু কারচুপি করার কোনো সুযোগ আছে বলে আমরা সেটা জানি না।

নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের বিষয়টি তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই আইন মোতাবেকই মহামান্য প্রেসিডেন্ট সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করছে। সেখানে আমরা আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করি না। নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছি। আগে নির্বাচন কমিশনের আর্থিক সক্ষমতা নিজস্ব ছিল না, সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এটা রাখা ছিল। আমরা সেটা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই আর্থিক সক্ষমতা তাদের হাতে আমরা দিয়ে দিয়েছি। বাজেট থেকে সরাসরি তাদেরকে টাকা দেওয়া হয়।

দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশটাকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম, বিদ্যুতের উৎপাদন-স্বাক্ষরতার হারবৃদ্ধি করেছিলাম, রাস্তাঘাট-যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুসহ অনেক কাজ করে বাংলাদেশকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০১-এ আমরা সরকারে আসতে পারিনি। কেন পারিনি অনেকবার বলেছি, আর বলতে চাই না; বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে নষ্ট হবে না, কারো হাতে তুলে দেবো না। আমার এই প্রতিজ্ঞাই ছিল। হয়তো সে কারণে আমরা আবার আসতে পারিনি। তাতে আমার কোনো আপসোস নেই। ২০০১-এ যারা ক্ষমতায় এসেছিল তাদের হত্যা, খুন, লুটপাট, দুর্নীতি, বিদ্যুতের পরিবর্তে খাম্বা, এ রকম অনেক খেলাই এ দেশের মানুষ দেখেছে। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা করে নির্বাচনে কারচুপি করে যে চক্রান্ত করেছিল সেই চক্রান্ত এ দেশের জনগণ সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারপরে অবশ্য ইমার্জেন্সি আসে, গ্রেফতার করে। ২০০৮-এ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মহাজোট করে আমরা জয় লাভ করি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ২০০৮-এ জয় লাভ করে ২০০৯-এ সরকার গঠন করেছি, আজকে ২০২২। পরপর ৩ বার ক্ষমতায়। আর ক্ষমতায় আছি বলেই আজকে বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। যেখানে বাংলাদেশের বাজেট হতো মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকার। এই ২০২২-২৩ অর্থবছরে আওয়ামী লীগ বাজেট দিয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

জনগণের কল্যাণে আওয়ামী লীগের নেতা পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে একটা দেশকে উন্নত করতে, এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমরা সেইভাবেই এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

জাতির পিতাকে উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, বাংলাদেশের মানুষ যেদিন পেট ভরে খাইতে পাইবে, যেদিন প্রত্যেকের মুখে হাসি ফুটিবে, আওয়ামী লীগের সংগ্রাম সেইদিনই ক্ষান্ত হইবে। আজকে আওয়ামী লীগ এইটুকু বলতে পারে, বাংলাদেশের কোনো মানুষ অভুক্ত থাকে না। তাই পিতাকে বলতে পারি, পিতা আমরা কথা দিলাম, আপনার জনগণ কখনও অভুক্ত থাকবে না, আপনার জনগণ কষ্টে থাকবে না। আপনি আজকে নেই। আপনার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়ে জনগণের পাশে থেকে আমরা এই জনগণকে সুন্দর জীবন দেব, উন্নত জীবন দেব।

কোনো ষড়যন্ত্রই এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারবে না বলে আশা রেখে শেখ হাসিনা বলেন, আঘাত আসবে, ষড়যন্ত্র আসবে, কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে, সেটাই আমরা চাই। বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্ন ইনশাআল্লাহ আমরা পূরণ করব।

রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে বেশি ভুগতে হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, একটা বাধা করোনা আর যুদ্ধ। এই জন্য আমার আহ্বান- আমরা যুদ্ধ চাই না, স্যাংশান চাই না, ওগুলো বন্ধ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে বন্দি থাকার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা কী, আমরা জানি। সব থেকে বেশি মেয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় যুদ্ধের সময়, শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। এই জন্য যুদ্ধ চাই না। আমি বিশ্বনেতৃত্বের কাছে আহ্বান করব, ওই ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করেন। তাদেরকে উসকানি দেওয়া বন্ধ করেন। যুদ্ধ এবং একে অপরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিকে বিপাকে ফেলেছে।

এই যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেজন্যই আমি আহ্বান করেছি, সকলকে যার যেটুকু জমি আছে চাষ করেন বা উৎপাদন করেন। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদেরটা আমরা খাব। আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের চলতে হবে।

 



 

Show all comments
  • Hassan mahmud ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:৪২ এএম says : 0
    ওলে বাবলে। বুবু ধোয়া তুলসী পাতা
    Total Reply(1) Reply
    • প্রবাসী-একজন ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৩৯ এএম says : 0
      ঠিক বলেছেন ভায়া, না হেসে পারলাম না।
  • Farid Hossain Iqbal ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৮ এএম says : 1
    Our Beloved Prime Minister ReElected As A President Of Bangladesh Awami League, Congratulations, All The Councillors Of Bangladesh Awami League, Praying To Almighty Allah For Considering Live Long Her,
    Total Reply(0) Reply
  • অধ্যাপক মোঃ আহবাব খান ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৮ এএম says : 1
    Congratulations & Best wishes
    Total Reply(0) Reply
  • Shahjahan Sarkar ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৮ এএম says : 1
    প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ও নবনিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের কে।
    Total Reply(0) Reply
  • Hannan Md ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৮ এএম says : 1
    ঐতিহ্য বাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দশমবারের মত সভাপতি নির্বাচিত হলেন দেশরত্ন গনতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তৃতীয় বারের মত সাধারন সন্পাদক নির্বাচিত সারা বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেতা বৃহওর নোয়াখালীর কৃতি সন্তান ওবায়দুল কাদের এম পি। অভিনন্দন ও মুজিবীয় শুভেচ্ছা।
    Total Reply(0) Reply
  • Narayan Chandra Sarkar ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৯ এএম says : 1
    প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক আমাদের আশা ভরসার স্থল জননেত্রী মানবতার মা আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার স্থপতি আপনার আগামী দিনের পথচলা কুসুমাস তীর্ণ হোক, জয় ও জশে ভরে উঠুক আপনার কর্ম চঞ্চল বাকি জীবন। পাশাপাশি সংগ্রামী জননেতা প্রিয় সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের ওনাকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
    Total Reply(0) Reply
  • Saif Ullah ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৯ এএম says : 1
    অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল
    Total Reply(0) Reply
  • S M Year Ali ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৯ এএম says : 1
    অজস্র সালাম অশেষ দোয়া ফুলেল শুভেচছা ও আন্তরিক অভিনন্দন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আবেগের ঠিকানা কোটি কোটি জনগনের আশার বাতিঘর বাঙালির স্বপ্ন সারথি বঙ্গবন্ধুকন্যা জয়তু জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা ১০ম বার স্মার্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জননেতা ওবায়দুল কাদের টানা ৩য় বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় জননেত্রী শেখ হাসিনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Uttam Das ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:১০ এএম says : 1
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সালাম ও অভিনদন আপনার দীর্ঘ আয়ু ও সুস্থতা প্রার্থনা করি বাংলাদেশ জয় হোক ৩৪ নং ওয়াড পাথর ঘাটা চট্টগ্রাম কোতোয়ালি
    Total Reply(0) Reply
  • Lipton Mohammedlipton ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:১০ এএম says : 1
    রাষ্ট্র নায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ ধন্য। অনেক অনেক সফলতা কামনা করছি শ্রদ্ধের জননেত্রী শেখ হাসিনা আপাকে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ