পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্রিকেটে এক ওভারে পরপর ৩ ইউকেট নিলে বলা হয় হ্যাটট্রিক। এই হ্যাটটিক খুব কম খেলোয়াড়ের ভাগ্যে জোটে। ক্রিকেট নয় রাজনীতির মাঠে ‘খেলা হবে’ বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক আলোচিত ওবায়দুল কাদের সেই হ্যাটটিক করলেন। তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয় বারের মতো সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়লেন। গতকাল ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার আগে দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এই দলটির গুরুত্বপূর্ণ এই পদে টানা তৃতীয়বার কেউ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হননি।
ছাত্রলীগের সভাপতির হিসেবে রাজনীতি করলেও পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। এক সময়ের সেই সাংবাদিক ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় দলের নেতাকর্মী ছাড়াও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ১২ ও ১৩ অক্টোবার অনুষ্ঠিত দলের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রথম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অতপর ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২১ তম জাতীয় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ছাত্রলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের পর সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন এবং ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ৫ বছর কারাবন্দী ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি দলের প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬-০৮ বাংলাদেশী রাজনৈতিক সংকটের সময় ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জরুরি বিধিতে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘সভাপতিমন্ডলীর সদস্য’ নির্বাচিত হন।
উল্লেখ, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগে যারা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন, শামসুল হক (১৯৪৯-১৯৫৩); শেখ মুজিবুর রহমান (১৯৫৩-১৯৬৬); তাজউদ্দীন আহমদ (১৯৬৬-১৯৭২); জিল্লুর রহমান (১৯৭২-১৯৭৬); সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত) (১৯৭৬-১৯৭৮); আব্দুর রাজ্জাক (১৯৭৮-১৯৯২); সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (১৯৯২-২০০২); আব্দুল জলিল (২০০২-২০০৯); সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (২০০৯-২০১৬); ওবায়দুল কাদের (২০১৬ থেকে এখন পযন্ত)। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।