Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই

সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সরকার পদত্যাগ না করলে ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর সরকারের পতনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ এবং বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে পিরোজপুরের গণমিছিলে ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় গণমিছিলের প্রস্তুতির সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফসহ ৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে প্রতিবেদন।

সিলেট ব্যুরো জানায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃন্তরীন করে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে না দিয়ে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে কারাবন্দি করে সরকার বিএনপিকে নেতা শূণ্য করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু তারা জানেনা যে, দেশের জনগণ সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এখন রাস্তায় নেমেছে।

তাই যুলুম ও নির্যাতন করে জনতার এই আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। চলমান আন্দোলনের মাধ্যমেই সকল রাজবন্দিকে মুক্ত করে একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে অবাধ, সুষ্ট ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। জনগণের দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে গণমিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকির সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

বগুড়া ব্যুরো জানায় : সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে বগুড়ার ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে এক সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগরী (উত্তর) এর আহ্বায়ক আমাম উল্লাহ আমান বলেন, সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ সরকাকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ না করলে ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর সরকারের পতনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি কাজি রফিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি এদেশে গণতন্ত্র চায় বলে ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতা এসেছে। এবার আর জনগণ ভোট ডাকাতির সুযোগ দেবে না। গতকাল কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত গণমিছিল শুরুর আগে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঢাকায়। আমরা গণমিছিলের ডাক দিয়েছিলাম। নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত ছিল। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুরোধে ঢাকায় আমরা গণমিছিল করি নাই। এই গণমিছিল আমরা ৩০ ডিসেম্বর করব। এর আগে বক্তব্য দেন দলটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াছিন।

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরা জেলা বিএনপির ইসলামপুর পাড়া কার্যালয় পুলিশের অবরুদ্ধ করে রাখায় কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে পারেনি মাগুরা জেলা বিএনপি। কর্মসূচি পালন করতে কর্মীরা গতকাল সকাল ১১টার দিকে অফিসের সামনে জড় হলে তাদেরকে দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ। পরবর্তীতে দুপুর ১২টার দিকে অফিস প্রাঙ্গন থেকে মাগুরা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম তুষার এবং রাতে যুবনেতা হারুনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ষগঞ্জ থেকে জানান, এক জন ব্যক্তি মাঝে মাঝেই বলেন, খেলা হবে। আমি সেই নেতার উদ্দেশ্যে বলতে চাই। সর্বশেষ ১০টি খেলায় বিএনপি জিতেছে, আগামী ৩০ তারিখে ঢাকায় যে খেলা হবে, সেই খেলাতেও বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল জিতবে। বাংলাদেশের গণমানুষের বিজয় লাভ হবে। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের মিশনপাড়া এলাকায় এই কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, গত ৭ তারিখে আমাদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অফিস থেকে সাড়ে ৪০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তার ৩দিন পরে আমাদের দলের মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় শুনেছি, পুলিশ গুলি ছুড়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে। গণমিছিলও করতে দিচ্ছে না। অর্থাৎ এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই বাংলাদেশে এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন হবে না। বিগত সময় যে নির্বাচন কমিশন ছিল, তার চেয়েও খারাপ এই কমিশন। এর অধিনে আমরা কোন নির্বাচন মানি না।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিয়ষক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, লক্ষ্মীপুরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। শহরের গো-হাটা রোড এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ উদ্দিন এ্যানীর বাস ভবনের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেয় নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান ও সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বিএনপি নেতা অ্যাডভোটেক হারুনুর রশিদ ব্যাপারী, অ্যাডভোটেক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে শহরের চিত্রলেখা মোড়ে আয়োজিত মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, এই গণমিছিল থেকে অঙ্গীকার করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এদেশে কোন নির্বাচন হবে না। দলীয় নেতাকর্মীদের বলবো আপনারা হতাশ হবেন না কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা জেল থেকে বেরিয়ে আসবে। মনে রাখবেন আওয়ামী লীগের অধিনে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না।

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক সভাপতিত্বে আলোচনার সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যাহ সেলিম প্রমুখ।
পিরোজপুর জেলা সংবাদাতা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাকা পিরোজপুর বিএনপির গণমিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকে। পরবর্তীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুরাতন জেলখানার সামনে কালেক্টরেট স্কুলের সামনে জড়ো হয়। সেখানেই ছাত্রলীগের সভাপতি অনিক এবং সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বিএনপি কার্যালয় হামলা চালাতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরাও তাদের প্রতিহতের চেষ্টা করে। এ সময় দুইপক্ষ ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির কমপক্ষে ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আলমগীর হোসেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিকের দাবি, বিএনপি-জামায়াতের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ছাত্রলীগ মাঠে অবস্থান নিয়েছিল। এ সময় তাদের ওপর বিএনপির লোকজন হামলা করে তাদের কয়েকজনকে আহত করে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তারা হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গেলে, বিএনপির লোকজন তাদের কার্যালয়ে পালিয়ে যায়। সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল জানান, বিএনপির লোকজনের হামলায় তাদের ৮ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, বিএনপি ও ছাত্রলীগে কর্মসূচি ছিল। ছাত্রলীগের মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় ও আশপাশে অভিযান চালিয়ে ৫টি ককটেল উদ্ধার এবং ১১ জনকে আটক করেছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশ বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন জানান, দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। সেখানেই পুলিশের বেড়িকেটের মধ্যে সমাবেশ করে তারা। এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন।
ঝালকাঠি থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিএনপির মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, যতক্ষন পর্যন্ত বাংলদেশে আগামী দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের মাটিতে কোন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তিনি আরোও বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশ ১৫ বছরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই ধ্বংস থেকে বাংলাদেশের মানুষকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আনার জন্য বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছে। তিনি পুলিশ ও প্রশাসনকেও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার নাটোরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সকাল ১০টায় গণমিছিলের পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে আরোও উপস্থিত ছিলেন, নাটোর বিএনপির নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, বিএনপি নেতা কাজী গোলাম মোর্শেদ। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের সন্ধ্যা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে গণমিছিল বের করে বিএনপি। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মাওলানা আব্দুল মতিন, গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. নুরুল ইসলাম সেন্টু, নাচোল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু তাহের খোকন, জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপিরসহ সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল হক রুবেলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, মোসলেম উদ্দিন মোল্লা দুলাল, আজাহারুল ইসলাম মানু প্রমুখ।

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, নেত্রকোনা সার্কিট হাউজের সামনে থেকে গতকাল গণমিছিল বের করে জেলা বিএনপি। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত, বজলুর রহমান পাঠান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় গণমিছিলের প্রস্তুতির সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফসহ ৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়। এতে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির কর্মসূচি।

আটকরা হলেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ, সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, বিএনপি নেতা আবু হানিফ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব খাঁন, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি কৌশিক আহমেদ রানা, ইমরান ও ছাত্রদল নেতা আরমান খান।

জানা যায়, গণমিছিলের প্রস্তুতি নিতে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু হয় বিএনপি নেতাদের। সেখান থেকে ৮ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন জানান, বিএনপির মিছিল থেকে হামলা, ভাঙচুর ও পরিস্থিতি অশান্ত করার পরিকল্পনার তথ্য ছিল। তবে আটকদের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁ জেলা বিএনপির উদ্যোগে গণমিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ে বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই কর্মসূচির আগের গত শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী বিভিন্ন এলাকায় পুলিশী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযানে রাজবাড়ী পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম মহিউদ্দিন আহম্মেদ গিটারকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
রাজবাড়ী থানার ওসি বলেন, রাজবাড়ীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদিকে, গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবীব-উন-নবী-খান সোহেল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণমিছিল করেছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন প্রমুখ।

ফেনী জেলা সংবাদদাতা জানান, ফেনী জেলা বিএনপির উদ্যোগে গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় গণমিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে গেলে পুলিশি বাধায় মিছিলটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি।

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা জানান, মৌলভীবাজারে বিএনপির গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গণমিছিল বের করে।

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল গণমিছিল করেছে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি। টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফরহাদ ইকবালের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয় সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বেনজির আহমেদ টিটো প্রমুখ।

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণমিছিল শুরুর পূর্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে বক্তব্য রাখেন।



 

Show all comments
  • Sheikh Kawser ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:২৯ এএম says : 0
    ভাই এইটা গণমানুষের মনের কথা কিন্তু বেহায়ারা বলবে উল্টো।
    Total Reply(0) Reply
  • Sabbir Hashan ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩০ এএম says : 0
    সময়ের সেরা দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Miru Hasan ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩০ এএম says : 0
    হুম,,,পুরা জাতীর বাস্তব চাওয়ার প্রতিফলন হবে তত্বাবধায়ক সরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Imran Khan ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩০ এএম says : 0
    100%right
    Total Reply(0) Reply
  • Sayed, FF (Airman) ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:১৮ এএম says : 0
    Is there any তত্ত্বাবধায়ক সরকার any where in the world?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ