পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মসজিদের আজান মসজিদেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি ইসলাম বিদ্বেষী নাদের খান ও তার স্ত্রীর এহেন স্পর্ধা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ দাবির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, আজানের সাউন্ড নিয়ন্ত্রণ ও অজানাকে মসজিদে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলে ইসলাম বিদ্বেষী এই দম্পতি কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের হৃদয়ে চরম আঘাত প্রদান করেছে। ইসলামের একটি প্রতীক ও নিদর্শন আজানের বিরুদ্ধে নাস্তিক-মুরতাদদের উস্কানি দেয়ার অপরাধ করেছেন নাদের খান ও তার স্ত্রী। তাই অবিলম্বে নাস্তিক মুরতাদদের দোসর নাদের খান ও তার স্ত্রী গ্রেফতারের আওতায় আনতে হবে। আল্লাহ বিরোধী অবস্থান নেয়া এ দম্পতিকে অবিলম্বে তওবাহ করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঃ চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি, শিল্পপতি নাদের খাঁন ও তার স্ত্রী হাসিনা খাঁন চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার একটি জামে মসজিদে উচ্চস্বরে আজানের আওয়াজ নিয়ে আপত্তির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মহাসচিব বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে আজানের আওয়াজ নিয়ে আপত্তিকর ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তিনি বলেন, আজান মহান আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে আহŸান করার নাম। আজানের সুমধুর আওয়াজ শুনে অনেক অমুসলিম ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন। আজানের আওয়াজ এমন সুমধুর, যে কোন পাষাণ হৃদয় আন্দোলিত হয় মহান রবের তরে। কিন্তু আশ্চয্যের বিষয় হলো মুসলিম দম্পতি তাদের কাছে আজানের আওয়াজ নাকি বিরক্তিকর। তিনি বলেন, আজানের আওয়াজ ভাল না লাগলে বুঝতে হবে তার সমস্যা অন্য জায়গায়। আজানের আওয়াজে নয়। কাজেই শিল্পপতি নাদের খাঁন ও তার স্ত্রী হাসিনা খাঁনকে অবশ্যই তওবা করতে হবে এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি মহান আল্লাহর কাছে তাদের কৃত অপরাধের জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় নাদের খাঁন ও তার স্ত্রী হাসিনা খাঁন আজীবন ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।
উম্মাহ কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশ ঃ মসজিদের আজান মসজিদেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে চিটাগাং ক্লাবের সভাপতি ইসলাম বিদ্বেষী নাদের খান ও তার স্ত্রীর এহেন স্পর্ধা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ দাবির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছেন উম্মাহ কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশের সভাপতি মুহাম্মদ ইসমাঈল বুখারী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ আমানত উল্লাহ।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, আজানের সাউন্ড নিয়ন্ত্রণ ও অজানাকে মসজিদে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলে এই দম্পতি কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের হৃদয়ে চরম আঘাত প্রদান করেছে। ইসলামের একটি প্রতীক ও নিদর্শন আজানের বিরুদ্ধে নাস্তিক-মুরতাদদের উস্কানি দেয়ার অপরাধ করেছেন নাদের খান ও তার স্ত্রী। তাই অবিলম্বে নাস্তিক মুরতাদদের দোসর নাদের খান ও তার স্ত্রী গ্রেফতারের আওতায় আনতে হবে। নেতৃদ্বয় বলেন, নাদের খানদের মনে রাখা উচিত এদেশ এখনও স্বাধীন। এখনও প্রিয় মাতৃভ‚মি বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে ওঠেনি, যেখানে আজানসহ বহু ইসলামী আচার-আচরণ নিষিদ্ধ। শতকরা বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে এ জাতীয় আবদার ও দাবি চরম ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ। এটা হিন্দুস্তানের এদেশীয় এজেন্ট মোদিভক্তদের পরিকল্পনার অংশ কি না তা সরকারকেই উদঘাটন করতে হবে।
নাস্তিকদের দোসর নাদের খানদের বলতে চাই একেকটি দিবস উপলক্ষে এদেশের লক্ষ-কোটি মানুষের আরামের ঘুম হারাম হয়ে যায়, তখন তোমাদের এই চেতনা কোথায় থাকে? গেলো বিশ্বকাপে কোটি মানুষের কাজকর্ম ও স্বাভাবিক নিদ্রায় চরম ব্যাঘাত ঘটেছে, অসুস্থ মানুষ ও শিশু-কিশোররা চরম বিপাকে পড়েছে। তখন তোমাদের এই প্রগতিশীলতা কোথায় ছিল ? তারা কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত দেয়ার অপরাধে সরকারের নিকট এই নাদের দম্পতিকে অবিলম্বে গ্রেফতারের জোর দাবি জানান। মসজিদের আজানের বিরোধীতা বরদাস্ত করা হবে না।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ঃ মসজিদের আজান মসজিদেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে চিটাগাং ক্লাবের সভাপতি নাদের খান ও তার স্ত্রীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ দাবির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব আল্লামা এম এ মতিন ও প্রিন্সিপাল স উ ম আব্দুস সামাদ। দলের দপ্তর সচিব মুহাম্মদ আবদুল হাকিমের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন,আজান এটা মুসলমানদের শরীয়তের আলোকে নামাজে শরীক হওয়ার আহবান এবং ধর্মীয় আচরণ। সাউন্ড নিয়ন্ত্রণ ও আজানকে মসজিদে সীমাবদ্ধ রাখার যে দাবি করেছেন তা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রতি চরম আঘাত। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশে এ ধরনের স্পর্ধা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরী করার হীন ষড়যন্ত্র। নেতৃদ্বয় আরও বলেন,তারা নাস্তিক্যবাদের প্রতিনিধি হয়ে এদেশে ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে ইহুদীবাদের দালালী করতে মাঠে নেমেছে কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। নেতৃদ্বয় সরকারের নিকট এই নাদের দম্পতিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।