পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রলীগের তোপে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার বেলা সাড়ে ৯টার দিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট’ পদে টাইপিং দক্ষতা পরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে। এদিন বিকেলে একই পদে ওই বিভাগসহ আরও কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট’ হিসেবে ১টি পদের বিপরীতে ২৬৬ জন প্রার্থীকে টাইপ টেস্টের জন্য আহŸান করে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ৯টায় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে উপস্থিত হন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা বোর্ডের আহŸায়ক ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ও সদস্য সচিব ছিলেন উপরেজিস্ট্রার (প্রশাসন) চন্দন কুমার দাস। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ সদস্য ছিলেন আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষার সময় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কিছু নেতাকর্মীরা এসে বাধা দেন এবং পরীক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেন। পরে পরীক্ষার আহŸায়ক এইচ এম আলী হাসান সেখান থেকে চলে যান। পরে পরীক্ষার্থীরা বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও পরীক্ষা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিকেলে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষাসহ আগামী ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর আউকিউএসি ও ফাইন আর্টস বিভাগ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধিক পরীক্ষার্থী। তারা বলেন, প্রশাসন চাইলে পরীক্ষা নিতে পারত কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অনেক দূর থেকে কষ্ট করে এসে পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হচ্ছে। তাই আমরা নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছি।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আজকে যে নিয়োগ বোর্ড ছিল জানতে পারলাম যে সেখানে কোন কারণে ঝামেলা হইছে। যারা ওইখানে ছিল তারা সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। যারা বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চুক্তিতে ডে লেবার হিসেবে কর্মরত। পরবর্তীতে শুনতে পেলাম নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হয়েছে এতটুকুই।
নিয়োগ পরীক্ষার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, আমি পরীক্ষাস্থলে যাওয়ার আগেই শুনলাম কিছু ছেলে পরীক্ষা নিতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, অনিবার্য কারণবশত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই।
এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কিছু ছাত্র নামধারী দুষ্কৃতকারী পরীক্ষায় বাধা দিয়েছে। আমাদের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।