পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছেন। আমাদের পতাকাবাহী জাহাজ ছিল ৬১টি। সেখান থেকে ৯২টিতে উন্নীত হয়েছে। এক বছরের মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে যাবে। আমাদের রিজার্ভের সিংহভাগ আসবে মেরিটাইম সেক্টর থেকে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নৌ স্থাপত্য ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ বিরাট ভূমিকা রাখবে এবং সুনীল অর্থনীতির পথ দেখাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানসম্পন্ন অনেক শিপইয়ার্ড আছে। সেখানে উন্নতমানের জাহাজ তৈরি হয়। জাহাজ নির্মাণের জন্য বৃটিশ সরকার বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। তারা আমাদের দেশের সাথে মেরিটাইম সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শিমুলিয়াতে ল্যান্ডিং স্টশন নির্মাণ করা হবে। নগরবাড়ী, বাঘাবাড়ী ও নোয়াপাড়া নৌবন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর ফলে নৌপথে পণ্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। রাস্তার ওপর চাপ কমবে। প্রধানমন্ত্রী মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। চট্টগাম ও মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। পায়রা বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ চলছে। সেটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাব হবে। ৩৭ টি অব্যন্তরীণ নদী বন্দর নিয়ে কাজ করছি। মুক্তারপুর, খানপুরে ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো নির্মিত হচ্ছে। মুক্তারপুরকে বাংলাদেশ -ভারতের পোর্ট অব কল ঘোষণা করা হয়েছে। পানগাঁওয়ে ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে নৌ-স্থাপত্য এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ‘মেরিন টেকনোলজি বিষয়ক (মারটেক ২০২২) ১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের’ সমাপনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সাজিদুল বারী, টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ড. মাসুদ করিম এবং ড. শহীদুল ইসলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অধিকার আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্যকেউ আমাদের প্রতিষ্ঠিত করে দিবে না। আমাদের মেধা আছে, প্রতিভা আছে এটা পৃথিবীতে সুনাম অর্জন করেছে। যদি সমন্বিতভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পাবো। জাতির পিতাকে হারানোর পরে অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো নেতৃত্ব পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে গেছে। যে জায়গায় গেছে সেখানে থেকে তো নামাতে পারবে না। আরও এগিয়ে যাবো। যারা বাঙালি জাতিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিল, তাচ্ছিল্য করেছিলো তাদের দেখিয়ে দিতে চাই আমরা পারি। মেরিটাইম সেক্টরে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। আপনারা আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।