পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দারাজ বাংলাদেশ-এর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পরবর্তী প্রজন্মকে গাছপালা ও বনায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকিত করতে এবং একটি সবুজ আগামীর জন্য তাদের প্রস্তুত করতে অনন্য এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রিন সেভারস (িি.িঃযবমৎববহংধাবৎং.ড়ৎম) এবং দারাজ কেয়ারস-এর মধ্যে একটি সফল অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসের এই ‘ফর গ্রিন ফর ফিউচার’ শীর্ষক তিন মাসব্যাপী উদ্যোগটি সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দারাজ বাংলাদেশের সামাজিক উদ্যোগ ‘দারাজ কেয়ারস’-এর আয়োজনে ‘ফর গ্রিন ফর ফিউচার’ উদ্যোগটি আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়িত হয়। এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে: উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি কামরুননেসা গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল এবং বিসিএসআইআর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। দারাজ কেয়ারস- এর অংশগ্রহণমূলক এ উদ্যোগ থেকে ২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক উপকৃত হয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে ‘ফর গ্রিন ফর ফিউচার’ উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল গাছের গুরুত্ব ও এই সবুজ প্রকৃতিতে গাছের অবদান সম্পর্কে সবাইকে জানানো। এই উদ্যোগটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরিবেশবান্ধব ও বাতাস পরিশুদ্ধকারী ইনডোর গাছ সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা অর্জন করেন। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের গাছে পানি দেয়া, ছাটাই করা, সঠিক জায়গায় গাছ রাখা, কীট ব্যবস্থাপনা ও গাছের পুষ্টি ব্যবস্থাপনা সহ গাছের যতœ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আয়োজনের সমাপনীকে আনন্দময় করতে শিক্ষার্থীদের জন্য গাছ চিহ্নিতকরণ কুইজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মোট ৪৮০টি ডেস্ক-প্ল্যান্ট ও বাতাস পরিশুদ্ধকারী ইনডোর গাছ পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিজয়ী শিক্ষার্থীরা জিতে নেয় ‘ট্রি গার্ডিয়ান’ টাইটেল! অংশগ্রহণকারী ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটিকে ৪০টি করে মোট ৩২০টি আউটডোর গাছও উপহার দেয়া হয়।
দারাজ বাংলাদেশের সিসিএও এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস (রুশো) বলেন, গত বছর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন (কপ২৬)-এ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বিশ্বের শীর্ষ নেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে বননিধন প্রতিকারে শপথ গ্রহণ করেন। এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হলে আমাদের তরুণদের বৃক্ষরোপণ ও গাছের পরিচর্যা বিষয়ে আরও বেশি উৎসাহী করে তুলতে হবে। আমাদের এই উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র বৃক্ষরোপণেই উৎসাহিত করেনি পাশাপাশি একটি সবুজ ভবিষ্যতের জন্য গাছ সংরক্ষণের দায়িত্বের ওপরও জোর দিয়েছে। ‘ফর গ্রিন ফর ফিউচার’-এর মাধ্যমে মেধাবী সব তরুণদের সাথে পরিচিত হয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ফলপ্রসূ এই আলোচনার মাধ্যমে পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য তাদের এতোটা অনুপ্রাণিত দেখতে পেরে আরও ভালো লাগছে। আমি নিশ্চিত, আমাদের ট্রি গার্ডিয়ানরা একই উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে যাবে এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
‘ফর গ্রিন ফর ফিউচার’ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরাও এমন ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগের অংশ হওয়ার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।