পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই বাংলাদেশ চলবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান-এ এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি অফিসার-বি (ডিইও) ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে পররাষ্ট্রনীতি আমাদের দিয়ে গেছেন- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলব।
‘তবে, আমরা একটা স্বাধীন দেশ। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে। যদি কখনো বহির্শত্রুর আক্রমণ হয়, সেটা যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি। আর যেকোনো যুদ্ধে যেন জয়ী হতে পারি, সেভাবে আমাদের নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী; অর্থাৎ সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন, আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে আমি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। প্রশিক্ষণকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেই এবং প্রশিক্ষণের জন্য অবকাঠামো আমরা আওয়ামী লীগ সরকারে এসে করে দিয়েছি।-বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করব। '৪১ সালে বাংলাদেশের জনগণ হবে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন। ডিজিটাল ডিভাইসে শিক্ষা নিয়ে তারা প্রত্যেকে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের অর্থনীতি, যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সব কিছু আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে যাব। বাংলাদেশ হবে স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ জাতির পিতা চেয়েছিলেন; ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৯৬ সাল থেকেই নৌ বাহিনীকে আধুনিক করার কাজ করি। ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণোয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। মোট ৩৬ টি যুদ্ধজাহাজ নৌ বাহিনীতে যুক্ত করি। এভিয়েশন উইং স্থাপন করি। দুটি সাবমেরিন যুক্ত করার মাধ্যমে নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়। আমরা নিজেদের জাহাজ নিজেরাই তৈরি করছি। নৌ বাহিনী ক্রেতা বাহিনী থেকে নির্মাতা বাহিনীতে পরিণত হতে যাচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।