পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে কোন দল কতটুকু উন্নয়ন করেছে জনগণকে তা বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের সার্বিক উন্নয়নের একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর বাইরে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশের জন্য কী করেছে এবং কতটুকু উন্নয়ন করেছে এই পার্থক্যটা বিবেচনা করে দেখবেন।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে পৌনে ১১টার পর দেশের ১০০ মহাসড়ক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের শুনতে হয় আওয়ামী লীগ দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। জানি না, যারা এটা বলে আওয়ামী লীগ কিছুই নাকি করেনি। দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে কি না, সেটাই আমার প্রশ্ন।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা ৩০ বছর ক্ষমতায় ছিল, তারা কী করেছে আর আওয়ামী লীগ কী করেছে, আমি আশা করি দেশবাসী বিবেচনা করে দেখবেন। আমরা বিশ্বাস করি সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। গণমানুষ যেন ভালো জীবনযাপন করতে পারে, আমরা সেটা চেষ্টা করি। আমরা দেশের শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। ই-গভর্ন্যান্স, ই-এডুকেশন অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এভাবেই আমরা পরিকল্পনা করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চান।
আ.লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার জনগণ বিশ্বাস করে না
অনুষ্ঠানে প্রথানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ ধ্বংস করেছে বলে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে দেশের মানুষ তা বিশ্বাস করে না। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নে বিশ্বাস করে। মানুষ যেন শান্তি, নিরাপত্তায় থাকতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি বাঙালি যেন তৈরি হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করেছি। এবার আমরা ই-জনগোষ্ঠী তৈরির কাজ করে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত পুষ্টি, উচ্চশিক্ষা, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কাজও করছি। এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।
বঙ্গবন্ধু থাকলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হতো মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ যখন যাত্রা শুরু করে, ঠিক সেই সময়েই ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আঘাতটা আসে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে থেমে যায় দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত।
‘আমরা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কত দেশকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখি। প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন, তার হাতে যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থাকত, তাহলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। কিন্তু ঘাতকদের কারণে সেটা হতে পারেনি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করি।-যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।