প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : আমি হানাফি মাজহাবের অনুসারী একজন। কিন্তু যদি আমি নামাজে নাভির একটু উপরে হাত বাঁধি এবং যেসব নামাজে ইমাম সাহেব সূরা সমূহ আস্তে পড়েন তাতে আমি সূরা পাঠ করি তহলে কি আমার মাজহাব অনুসরণে সমস্যা হবে? নাকি আমাকে অবশ্যই নাভির নীচে হাত বাঁধতে হবে এবং মনে মনে সূরা পাঠ না করতে হবে?
উত্তর : আপনি কেন ওখানে হাত বাঁধবেন? আপনার কি নাভীর নিচে হাত বাঁধা সম্পর্কে কোনো সন্দেহ আছে? হানাফি মাজহাবের ইমামগণের হাত বাঁধার বিষয়টি বোঝার ব্যাপারে কোনো ভুল হয়েছে বলে কি আপনি মনে করেন? যদি এমন হয়, তাহলে হানাফি মাজহাব ছেড়ে দিন। অন্য মাজহাবের অনুসারী হয়ে বা মাজহাব বিহীন জীবন যাপন করুন। সূরা ফাতিহার ব্যাপারেও একই কথা। যদি মনে করেন, ইমামের পেছনে সূরা ফাতিহা না পড়লে নামাজ হয় না, তাহলে হানাফি মাজহাব ছেড়ে যেভাবে পছন্দ হয় সেভাবে নামাজ পড়ুন। কিন্তু একটি মাজহাব অনুসরণ করার মধ্যে থেকেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্য পদ্ধতি অনুসরণের মনোভাব কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না। কারণ, সত্য মাজহাব কোনোটিই সুন্নাতের খেলাফ নয়। কোরআন হাদীস ও স্বর্ণযুগের আমলের ভিত্তিতেই সব মাজহাবের ভিত্তি রচিত। এসবের অনুসরণই সুন্নাতের অনুসরণ। আলাদাভাবে বোঝা বা চিন্তা করা অনেক ফেতনার জন্ম দেয়।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।