Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইসলামের বিরুদ্ধে নয় - মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫০ পিএম

ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ৭০ এর নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধ হবার মূল কারণ। আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ হবার হবার পরেও তাদেরকে ক্ষমতায় না বসানোর কারণে ভোটাধিকারের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, ৭০ এর নির্বাচনে ইশতেহার ছিল কোরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ করা হবে না। এই ইশতেহার দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে কোরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন মেনে নেয়া যায় না। ৭১ এর পূর্বে প্রত্যেক পোষ্টারে লেখা ছিল নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হবার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার নামে আজকে সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের সনদ ভুয়া প্রমাণিত হচ্ছে। অথচ অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কারো কারো অবৈধ আবদার পূরণ না করার কারণে এখনো স্বীকৃতি বঞ্চিত। তিনি বলেন, দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার নেই।

আজ রোববার পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মাওলা। আরো বক্তব্য রাখেন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা চাষী নজরুল ইসলাম কুষ্টিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোত্তালিব খান গাজিপুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোলায়মান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গফুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুনুর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম মাওলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এমদাদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টাঙ্গাইল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী দবির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হক, মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম মুফতী মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সাহাদুজ্জামান মোল্লা, এবিএম রকিবুল হক, মো. আবদুল কুদ্দুস, মো. মিজানুর রহমান, আবুর শোয়াইব খান ও ডা. আতাউর রহমান চৌধুরী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশ গড়তে হবে। মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন,নব্য চেতনা ধারীরা মুক্তিযুদ্ধকে ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়ে যাচ্ছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন,ন্যায়-বিচার, সাম্য, মানবিক মর্যাদার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, স্বাধীনের পূর্বে চাকুরীসহ সব ক্ষেত্রে নৈরাজ্য ছিল। এই ৫২ বছরে স্বাধীনতার সুফল পাইনি। ইশতেহারে কোরআন সুন্নাহ বিরোধী আইন করা হবে না বললেও সরকার মদকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য দেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খালেকুজ্জামান নাটোর বলেন মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কটাক্ষ শুনতে হয়। বেতন ভাতার জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আমরা অধিকার পাওয়ার আশায় মুক্তিযুদ্ধ করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টাংগাইল বলেন,মুক্তিযোদ্ধাদেরকে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বলা হলেও প্রয়োগের বেলায় তা অন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক গাজীপুর বলেন,অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হলেও তা আজও হয়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ