Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার উৎখাত করা এতই সোজা, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:০২ পিএম | আপডেট : ৮:২৭ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২

 ১৯৭১ সালে আইয়ুব খানকে উৎখাত, ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করা- সবগুলোর পেছনেই আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান রয়েছে। অথচ ক্ষমতাসীন দলটিকে আন্দোলন করে উৎখাত করে ফেলতে চায় বিএনপি-বিষয়টি এতই সোজা কিনা এমন প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করা সোজা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। বিএনপি বিজয়ের অনুষ্ঠান করবে। অথচ তারা এলো আন্দোলন করে সরকার উৎখাত করবে। এতই সোজা! (এটা) আওয়ামী লীগ পারে। ’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পারে, আইয়ুব খানকে আমরা উৎখাত করেছি। ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি। জিয়াকে পাই নাই হাতে; কিন্তু জিয়া যখনই যেখানে গেছে- আন্দোলন তো তার বিরুদ্ধে হয়েছে। এরশাদকে উৎখাত করেছি। খালেদা জিয়া (১৯৯৬ সাল) ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করে, তাকে উৎখাত করা হয়েছে। আবার ২০০৬ এ ভোট চুরি করেছিল, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট করতে চেয়েছিল, সেটাও বাতিল হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসলে... হ্যাঁ চক্রান্ত করতে পারবে, ষড়যন্ত্র করতে পারবে। ’

নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘চক্রান্ত করে ২০০১ সালে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। তার ভোগান্তি এদেশের মানুষের হয়েছে। মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। আবার সে ভোগান্তিতে পড়তে হবে? না মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে আমরা এগিয়ে যাব উন্নয়নের পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। গড়ে তুলব ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ। ’

স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে-এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রত্যেকটা মানুষ কম্পিউটার ব্যবহারে পারদর্শী হবে। আমাদের অর্থনীতি আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য; আমাদের সব কিছু আমরা ই-গর্ভনেন্স, ই-বিজনেস সব কিছু এভাবে করব। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা থেকে শিক্ষা- সব কিছুই আমরা গড়ে তুলব। সেভাবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

‘বিজয় আমরা এনেছি, এই বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে চলতে হবে। আর যেন ওই খুনি, যুদ্ধাপরাধী, যাদের আমরা বিচার করেছি, এরা যেন এই দেশটাকে আবার ধ্বংস করতে না পারে। সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ