Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিজার্ভ ট্যাঙ্কি থেকে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার

| প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নিখোঁজ বেসরকারি বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থী কফিল চন্দ্র বাড়ৈর (২০) লাশ উদ্ধার হয়েছে। গত সোমবার মধ্যরাতে বারিধারা জে-ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ৪ নম্বর নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় রিজার্ভ ট্যাঙ্কি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ বলেছে, ওই ছাত্রকে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য রিজার্ভ ট্যাঙ্কির মধ্যে ফেলে গেছে তার ঘাতকরা। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, নিহত কফিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির কম্পিউটার সাইন্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নিহতের ভাই প্রণব চন্দ্র সাংবাদিকদের জানান, ভাটারার হাইস্কুল গলির ১৭ নম্বর বাড়ির এক রুমের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তার ভাই। এছাড়া তাদের এলাকার  সুমন ও রানা  নামে  আরো  দুই যুবক একই মেসে থাকত। গত ১৬ ডিসেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত  ভাইয়ের সাথে তার যোগাযোগ হয়। এর পর থেকে কফিলের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফোন বন্ধ পাওয়া এবং মেসসহ কোথাও তার খোঁজ না মেলায় এ ব্যাপারে ১৮ ডিসেম্বর ভাটারা থানায়  সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু ১৯ ডিসেম্বর দুপুরের পর তার ভাইয়ের মোবাইল নাম্বার থেকে একটি এসএমএস আসে তার বাবার মোবাইল নম্বরে। ওই এসএমএসে লেখা ৪০ হাজার টাকা না দিলে তোর ছেলেকে মেরে ফেলা হবে। ম্যাসেজ পেয়ে তার বাবা ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করলে একজন কথা বলে। পরিচয় না দেয়ায় তার বাবা ফোন রিসিভকারীকে বলেÑ আমার ছেলেকে মারধর করো না। তোমরা বিকাশ নাম্বার পাঠিয়ে দেও, আমি টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি। এর কিছুক্ষণ পর আরো একটি এসএমএস দিয়ে ৩৫ লাখ টাকা দাবি করে ফোন বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু রাতে রিজার্ভ ট্যাঙ্কির ভেতরে লাশ উদ্ধারের পর  তাদের খবর দেয়া হলে তারা গিয়ে লাশ শনাক্ত করে।
তিনি আরো জনানান, গত তিন থেকে চার বছর ধরে তার ভাইসহ তারা ভাটারার হাইস্কুল গলির ১৭ নম্বর বাসায় থাকতেন। তার ভাইয়ের সাথে কারো কোনো বিরোধ ছিল বলে জানা নেই। এমনকি কি কারণে কারা তার ভাইকে হত্যা করে থাকতে পারে, এমন কোনো ধারণা নেই তাদের কাছে।
ভাটারা থানার ওসি নুরুল মুত্তাকিন জানান, কফিল নিখোঁজ জানিয়ে তার বাবা ভরত চন্দ্র বাড়ৈ গত ১৮ ডিসেম্বর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত সোমবার রাতে নির্মাণাধীন ভবনের ট্যাঙ্কি থেকে লাশ ভেসে উঠলে শ্রমিকরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। কফিলের মাথায় ধারালো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যার পর কোমরের বেল্টের সঙ্গে তার পেঁচিয়ে বালুর বস্তা বেঁধে রিজার্ভ ট্যাঙ্কির পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। ওসি জানান, কফিলের পরিবার গোপালগঞ্জে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বিরোধের কারণেই পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য ট্যাঙ্কির ভেতরে ফেলে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ হত্যকারীদের গ্রেফতার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে। গত রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ