Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ষোড়শ সংশোধনী রিভিউ শুনানি আজ

এজলাসে বসছেন বিচারপতি ইমান আলী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সংবিধানের আলোচিত ‘ষোড়শ সংশোধনী রিভিউ’ শুনানি আজ। এই শুনানিতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর।

গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কার্যতালিকা অনুযায়ী আজ (বৃহস্পতিবার) ষোড়শ সংশোধনী রিভিউ মামলায় শুনানি শুরুর কথা। কার্যতালিকায় প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৯ বিচারপতির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর পরই রয়েছে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নাম। সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল দফতর সূত্র জানায়, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন অবকাশ শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর ‘সুপ্রিম কোর্ট দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আদালতে ছুটি থাকবে। এ হিসেবে আজ (১৫ ডিসেম্বর) তার শেষ কর্মদিবস। শেষ কর্মদিবসে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হবে মর্মে জানায় সূত্রটি।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী যদি বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে বসেন তাহলে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হতে পারে।
এদিকে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী দেশে এসেছেন। তার নাম বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রয়েছে।
এর আগে চলতি বছর ৮ মে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ইংল্যান্ড যান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। গত ২৮ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি চেয়ে আবেদন করেন তিনি। আবেদনে লন্ডনে থাকা বৃদ্ধ মায়ের কাছে ছুটিকালীন সময় কাটানোর কথা উল্লেখ করেন। আবেদনের পর তার ছুটি মঞ্জুর করা হয়।

প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে। এর পরদিন ৩১ ডিসেম্বর থেকে ছুটিতে যান আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। তার সেই ছুটি ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার আগেই নতুন ছুটির দরখাস্ত করেন তিনি। এরপর আর তিনি আর আপিল বিভাগের বিচার কার্যক্রমে অংশ নেননি। গত এক দশকে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালে সিনিয়রিটি লঙ্ঘন করে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। এ ঘটনার পর আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি ছুটিতে চলে যান। তারা হলেনÑ বিচারপতি মো: আব্দুল মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান। একইভাবে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিলে সিনিয়র বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া পদত্যাগ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ