Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গাছের ডিস্ট্রেস সিগন্যাল

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সবাই জানে, গাছ মানুষ এবং পশুদের মতো জীবন্ত প্রাণী, তবে খুব কম লোকই জানে যে, গাছেরও মানুষ এবং প্রাণীর মতো অনুভূতি রয়েছে। এছাড়াও তারা ক্ষুধা, তৃষ্ণা, সুখ, দুঃখ, বিভিন্ন ঋতুর তীব্রতা ইত্যাদি অনুভব করে এবং তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়। কখনও কখনও গাছের এ প্রতিক্রিয়া এত সূক্ষ্ম হয় যে, আশেপাশের মানুষ এটি উপেক্ষা করে।

গবেষকদের মতে, গাছের শুধু অনুভূতিই থাকে না, তারা সাধারণ মানুষ ও প্রাণীদের মতো বিভিন্ন শব্দ দিয়েও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে।
পার্থক্য শুধু এই যে, এসব শব্দের তীব্রতা কখনও কখনও এত কম হয় যে, সেগুলো সহজেই উপেক্ষা করা যায়, তবে কখনও কখনও এসব শব্দ এতটাই উচ্চ হয় যে, আশেপাশের লোকেরা সেগুলো শুনে বিরক্ত হয়, আবার অনেকে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হয়। গবেষকদের মতে, সুখী পরিবেশে বেড়ে ওঠা গাছের শব্দ খরায় বেড়ে ওঠা গাছের চেয়ে আলাদা।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, খরার সময় চাপযুক্ত গাছগুলো তাদের কাণ্ডের ভিতরে ছোট বুদবুদ তৈরি করে, যা গাছের কাণ্ডে গর্ত তৈরি করে, যার ফলে একটি অনন্য আল্ট্রাসনিক শব্দ হয়।

এসব গর্তকে ক্যাভিটেশন বলা হয়, যদি সময়মতো সঠিকভাবে যত্ন না নেওয়া হয় তবে এটি গাছের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। গবেষকরা এবং পরিচালকরা তাই এ ধরনের শব্দগুলোকে সতর্কতা সঙ্কেত হিসাবে গ্রহণ করেন যে, গাছে জরুরিভাবে পানি দেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব শব্দকে গাছের ডিস্ট্রেস সিগন্যাল নির্ণয় হিসেবেও নেওয়া যেতে পারে, যার সাহায্যে ভবিষ্যতে প্রয়োজন বা খরার সময়ে স্বয়ংক্রিয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা যাবে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিখ্যাত পাকিস্তানি অভিনেতা আহমেদ আলী আকবরও একটি গাছ থেকে মানুষের কান্নার অদ্ভুত শব্দ শুনেছেন, যার ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন এবং এটিকে বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেছেন।
অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন এবং লিখেছেন যে, আপনি যা দেখছেন বা শুনছেন তা জাল নয়, তিনি সতর্ক করে দিয়ে লিখেছেন যে, এ ভয়েস বিরক্তিকর।

ভিডিওটি সম্পর্কে অভিনেতা আহমেদ আলী আকবর আরো লিখেছেন, ‘ইসলাবাদে ট্রেইল ফাইভের শুটিং করার সময় আমাদের একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। একটি গাছে একটি মুদ্রার আকারের গর্ত ছিল, যেখান থেকে অদ্ভুত শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
ভিডিওতে আরো দেখা যায় যে, রেকর্ডিং করা ব্যক্তি মোবাইল ফোনটি গাছের গর্তের কাছে নিয়ে গেলে সেখান থেকে মানুষের আর্তনাদ শোনা যায়। শব্দটি ঠিক যেন একজন মানুষ যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করে, ক্যামেরা পেছনে সরে যাওয়ার সাথে সাথে শব্দটি কম তীব্র হয়। সূত্র : জং নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ