বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আগেই কারাগারে ডিভিশন দেয়া উচিৎ ছিলো। গতকাল বুধবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেছেন, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ৯ ডিসেম্বর কারা বিধি অনুযায়ী তাদের ডিভিশন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তাদের ডিভিশন দেয়া হয়েছে ১৩ ডিসেম্বর। এ কারণে কয়েকদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সাফার করতে হয়েছে।

এদিকে পল্টনে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেফতার বিএনপি’র আরও ৫ নেতার পক্ষে কারাগারে ডিভিশন চেয়ে রিট করা হয়েছে। তারা হলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা,ঢাকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচবি সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন এবং বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান।
বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাসের পর আরও পাঁচ বিএনপি নেতার পক্ষে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন দেয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) একই আদালতে রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে ১৩ ডিসেম্বর রিট করা হয়। রিটের শুনানিকালে সরকারপক্ষের আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যেই তাদেরকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়েছে। ডিডিশন প্রদান সংক্রান্ত প্রমাণ দাখিলের পর দুই নেতার পক্ষে করা রিট উত্থাপিত হয়নি-মর্মে খারিজ করেন হাইকোর্ট।
রিটের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল।