পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন। গতকাল বুধবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের মোবাইল ফোনেও ফলাফল এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে পদসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। পদ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। চলমান নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চসংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগ এবং পদসংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে ৬১ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপিও দেন চাকরিপ্রার্থীরা। গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, প্রকৃত শূন্য পদ যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। এখন বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদের সঙ্গে পাঁচ হাজার পদ বাড়ানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।
এদিকে নির্বাচিত প্রার্থীদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হতে হবে। যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রার্থীর সব সনদের মূলকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের তিন সেট কপি, যথাযথভাবে পূরণ করা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম ও সিভিল সার্জনের দেওয়া স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।