ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
অর্থবিল বা বাজেট ২০১৫-১৬ তে ফ্লাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১১০০ বর্গফুট পর্যন্ত আয়তনের ক্ষেত্রে ভূমি ও ফ্ল্যাটের মূল্যের ওপর ১.৫ শতাংশ হারে, ১৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত ফ্ল্যাটের আয়তনের ক্ষেত্রে ২.৫ শতাংশ হারে এবং ১৬০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের প্লটের ক্ষেত্রে ৪-৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর ধার্য করা হয়েছে। অধিকন্তু পাঁচ শতাংশ হারে রেজিস্ট্রেশন ফি, পাঁচ শতাংশ হারে মূলধনী লাভ এবং পাঁচ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি পরিশোধ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। কিন্তু কেউ ভূমি ক্রয় করে রেজিস্ট্রেশন করলে তাকে মূল্য সংযোজন কর দিতে হয় না। কোনো ভূমি মূল্যের ওপর পাঁচ শতাংশ হারে রেজিস্ট্রেশন ফি, পাঁচ শতাংশ হারে মূলধনী লাভ এবং পাঁচ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি পরিশোধ করতে হয়। ক্রয়কৃত ভূমির ওপর ইমারত নির্মিত হলে নির্মাণ ব্যয়ের ওপর পৃথকভাবে মূল্য সংযোজন কর, রেজিস্ট্রেশন ফি, মূলধনী লাভ এবং স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয় না। ভূমির মূল্য অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় অনেকের পক্ষেই ভূমি ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হয় না। এমন অবস্থায় ফ্ল্যাট ক্রয়ের প্রবণতা বাড়ছে। যাঁরা ফ্ল্যাট ক্রয় করেন তাঁদের সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের জন্য ভূমির অংশের এবং ফ্ল্যাট উভয় মূল্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর, রেজিস্ট্রেশন ফি, কর এবং স্ট্যাম্প ডিউটি প্রদান করে, মালিকানা রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এ ব্যবস্থাটি বৈষম্যমূলক। ভূমি ক্রেতা এবং আংশিক ভূমিসহ ফ্ল্যাট ক্রেতা উভয়য়ের জন্য একই মূল্যায়ন ও শুল্ক ইত্যাদি ধার্য করা ন্যায়নীতিভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন। তাই কেবল ভূমি রেজিস্ট্রেশনের মতো ফ্ল্যাটসহ ভূমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট নয়- কেবল ভূমি মূল্যের ওপর রেজিস্ট্রেশন ফি, মূলধনী লাভ এবং স্ট্যাম্প ডিউটি ধার্য কর প্রয়োজন। এতে ফ্ল্যাট ক্রয় কিছুটা হলেও সহজ হবে।
মো. আশরাফ হোসেন, ৮/এ, রমনা, ঢাকা-১০০০।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।